পৃথিবী কাঁপানো দশ জাহাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বড় মানেই যে সবচেয়ে ভালো তা নয়। কিন্তু যখন ক্রুজ শিপের কথা বলা হয়, তখন যত বড় তত ভালো বলে ধরে নেওয়া যায়। কত মানুষ ধরে বা দৈর্ঘ্য-প্রস্থে কত, তা দিয়ে জাহাজের বিশালতা মাপা হয় না। এটি মাপা হয় টনেজ দিয়ে। তাই আজ আপনাদের জন্য থাকছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দশ জাহাজের কথা।
১. রয়েল ক্যারিবিয়ান, অ্যালুর অব দ্য সিস:
৬ হাজার ৩৬০ জন মানুষের ধারন ক্ষমতা এই জাহাজটিতে। লম্বায় ৩৬০ মিটার। আর টনেজ ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮২। এটি যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে। ক্যারিবীয় এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এর চলাফেরা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই জাহাজটি ‘ওয়েসিস অব দ্য সিস’-এর চেয়ে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা।
২. রয়েল ক্যারিবিয়ান, অভাশন অব দ্য সিস:
সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯০৫ জন মানুষের ধারন ক্ষমতা এই জাহাজটিতে। লম্বায় ৩৪৮ মিটার। টনেজ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০। ২০১৬ সালের এপ্রিলে এর চলাচল শুরু হবে চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে। এর মধ্যে রোলার কোস্টার, সিপ্লেক্স ইনডোর স্পেস এবং নর্থ স্টার দেখার ক্যাপসুল রয়েছে।
৩. নরওয়েজিয়ান ক্রুজ লাইন, নরওয়েজিয়ান এসকেপ:
মানুষ ধারন ক্ষমতা ৫ হাজার ৪০০ জন। দৈর্ঘ্য ৩৩৪.৬ মিটার। টনেজ ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০। এ বছরের নভেম্বরে পানিতে ভাসবে তা। বিশাল এলাকাজুড়ে অ্যাকোয়া পার্ক রয়েছে এর মধ্যে। চলবে ক্যারিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে।
৪. নরওয়েজিয়ান ক্রুজ লাইন, নরওয়েজিয়ান এপিক:
৫ হাজার ১৮৩ জন মানুষ ধরবে এই জাহাজটিতে। দৈর্ঘ্যে ৩২৯ মিটার। টনেজ ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৩। ২০১০ সালে চালু হওয়া জাহাজটি গোটা হলিডে কাটানোর স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া যায়।
৫. রয়েল ক্যারিবিয়ানস ফ্রিডম অব দ্য সিস:
মানুষ ধরবে ৪ হাজার ৩৭৫ জন। লম্বায় ৩৩৯ মিটার, টনেজ ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৭। ২০০৬ সালে এর যাত্রা শুরু হয়। ক্যারিবিয়ার পশ্চিম এবং পূর্ব অংশে এটি চলাচল করে।
৬. কুনার্ডস কুইন মেরি ২:
সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৯০ জন মানুষ ধরে। লম্বায় ৩৪৫ মিটার। এর টনেজ ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৮। ২০০৪ সালে চালু হয় এটি। ট্রান্সআটলান্টিক ক্রসিং ছাড়াও গোটা বিশ্বের ভ্রমণ করে এটি। জাহাজটি সবচেয়ে দ্রুত ছুটতেও পারে বটে।
৭. নরওয়েজিয়ান ক্রুজ লাইনস নরওয়েজিয়ান ব্রিয়াকাওয়ে:
মানুষের ধারন ক্ষমতা ৩ হাজার ৯৯৮ জন। লম্বায় ৩২৫ মিটার। টনেজ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০০ জন। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু হয় এর। বারমুডা, বাহামাস এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এর চলাচল।
৮. প্রিন্সেস ক্রুজেস রিগাল প্রিন্সেস:
৩ হাজার ৬০০ জন মানুষ ধরে। লম্বায় ৩৩০ মিটার। টনেজ ১ লাখ ৪১ হাজার। ২০১৪ সালের মে মাসে যাত্রা শুরু করে। ক্যারিবীয় অঞ্চল এবং ইউরোপের উত্তরে চলাচল করে।
৯. পি অ্যান্ড ও ক্রুজেস ওয়ার্ল্ড ক্রুজিংস ব্রিটানিয়া:
মানুষ ধরে ৪ হাজার ১০০ জন। দৈর্ঘ্য ৩৩০ মিটার। টনেজ ১ লাখ ৪১ হাজার। এ বছরের মার্চে পানিতে নেমেছে। ভূমধ্যসাগর, বাল্টিক সি এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে চলাচল করে। এই ক্রুজের খাবারের মেনু তৈরি করেন ব্রিটিশ ফুডের পাঁচজন তারকা।
১০. এমএসসি ক্রুজেস এমএসসি প্রিজিওসা:
মানুষ ধরবে ৪ হাজার ৩৪৫ জন। লম্বায় ৩৩৩ মিটার। টনেজ ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০। ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয়। ভূমধ্যসাগর ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে চলাচল করে। জাহাজটি পানিতে ভাসার পর এমএসসি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ক্রুজ লাইনে পরিণত হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/এমএস