শারমিন আকতার
কবি প্রাণান্ত চৌধুরী আকাশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা কবিতা নিয়ে এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার ‘একাত্তর পদাবলী’। গ্রন্থের ক্রমানুসারে বইটি তার ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।এটি বাজারে প্রকাশ করেছে জয়তী।
বইটির প্রতিটি অংশে স্বাধীনতার স্বাদানুভূতি স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে উঠেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের সমগ্র ইতিহাসকে মনের আঙিনায় যতটা স্বচ্ছভাবে খুঁজে পাওয়া যায়; ঠিক ততটা কি একটি বইয়ের কিছু পৃষ্ঠায় বাঁধা সম্ভব? এ তো এমনই দূর আকোশের তাঁরা; যাকে এক কথায় বললে এভাবেই বলতে হবে, শেষ হয়েও হইল না শেষ। তবুও কবি প্রাণান্ত চৌধুরী আকাশ তার ভাবনার সবটুকু উজাড় করে দিয়ে প্রকাশের দ্বারপ্রান্তে এক উজ্জ্বল আলোক শিখার মতো ‘একাত্তরের পদাবলী’নামধারী কবিতার বইটিতে অজস্র সাহসী বীরের গল্পকে কাব্যের ফোঁড়নে আটশাট করে বেঁধে নিয়েছেন। এখন পাঠকের মনের নিরেট গহীনে কী ছাপ ফেলবে তা সময়ের আয়নায় দেখায় অপেক্ষা।
কবি প্রাণান্ত চৌধুরী আমাদের গৌরবের ইতিহাসকে অন্তরের অগ্র থেকে প্রান্তভাগের প্রান্তিকসীমানায় ধারণ করে তবেই কাব্যের বেড়াজালে আটকে ফেলেছেন নিপুণ কারিগরের মতো। ৫২, ৭১ এর সাথে তার দেখা হয়নি, কথাও হয়নি। শুধু অতীতের সংগ্রামের প্রসংশাবাণী শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন। আর নিজের অজান্তে এক পূর্ণ মানচিত্র আঁকার চেষ্টা করেছেন। উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছেন কিভাবে একটা সাল একটা জাতির স্বকীয় অস্তিত্ব নির্মাণের ইতিহাসে পরিণত হয়।
বাঙালির স্বাধীকার আদায়ের সময়টাকে ভিন্নমনা অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এমন বাস্তবতায় নিরপেক্ষ চোখে আজ ও আগামীর স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশকে স্নেহের পরশে দেখার আর বলবার ইচ্ছা থেকেই লিখে ফেলেছেন সোনালী স্মৃতির স্মারক এক কাব্যগ্রন্থ।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ