বগুড়ায় গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল

প্রকাশঃ মার্চ ১০, ২০১৭ সময়ঃ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

আবদুল ওহাব, বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে সৃষ্টি হয়েছে মৌ মৌ গন্ধ। আমের মুকুলের গন্ধ মানুষের মন প্রাণকে করছে মোহিত। সবকিছু মিলে আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে মধুমাসের।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাছগুলোতে আমের মুকুলে এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার অনুকূল ও প্রতিকুলতার ওপর। তাই আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।

বাংলাদেশে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের জন্য বিখ্যাত হলেও এই তালিকায় বগুড়ার স্থান একেবারে পিছনে নয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে নানা জাতের আম। আর লাভজনক হওয়ায় আম চাষের জমি বাড়ছে প্রতিবছরই । জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার আম চাষের সঙ্গে যুক্ত বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বগুড়ার এক বাগান মালিক কামরুল হাসান প্রতিক্ষণকে বলেন, তিনি তার বাগানে বিভিন্ন জাতের শতাধিক আম গাছ লাগিয়েছেন। এর মধ্যে আম রুপালি, গোপাল ভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষিরসা পাতি, বারি-৪, হাড়িভাঙা অন্যতম। ইতিমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরো এক সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাগান মালিক সিকান্দার আলী ও কিবরিয়া তালুকদার প্রতিক্ষণকে জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগানো আম গাছেও মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। আবার কিছু গাছে মুকুল বের হচ্ছে। মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন এবং মুকুলে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঔষুধ স্প্রে করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডীদাস কুন্ডু প্রতিক্ষণকে বলেন, এবারের আবহাওয়া অত্যন্ত ভালো; যা আমের বাম্পার ফলনের জন্য উপযোগী। তারপরও সবকিছুই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে।

এদিকে আমগাছে পর্যাপ্ত মুকুল দেখে “আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা, ফুল তুলিতে যাই। ফুলের মালা গলায় দিয়ে, মামার বাড়ে যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে, আম কুড়াতে সুখ। পাকা আমের মধুর রসে, রঙিন করি মুখ” পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের এই ‘মামার বাড়ি’ কবিতাটি আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে সবাইকে।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G