বগুড়ায় বন্যার কারণে কৃষকের স্বপ্ন বিলীন

প্রকাশঃ এপ্রিল ১২, ২০১৭ সময়ঃ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

আবদুল ওহাব, বগুড়া প্রতিনিধি:

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে যমুনা নদীতে। তলিয়ে যাচ্ছে যমুনার চরাঞ্চল। বাদ থাকছে না ফসলি জমি। চরাঞ্চলে বোরো ধান পানিতে ভাসছে। পানি বন্দী ধানের জমি নিজ চোখে দেখেও কিছুই করার নেই এই অসহায় মানুষগুলোর । ফলে নিঃশব্দ আকুতির মাঝে বিলীন হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।

সরেজমিনে দেখা যায়, চরাঞ্চলের সিংহভাগ জমিতে ধান এখনও পাকেনি। ধান তুলতে আরো মাস খানেকের মতো অপেক্ষা করতে হবে। বিগত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চরের জমিতে কালো বোরো চাষ করেছিলেন চরাঞ্চলের কৃষক। কিন্তু বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই যমুনায় পানি বাড়ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে যমুনার চরাঞ্চলে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর ও ধুনটে ২ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা কালো বোরো ধান চাষ করেছেন। তবে আকস্মিকভাবে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় ধুনট উপজেলায় প্রায় ৫শ’ হেক্টর ও সারিয়াকান্দিতে প্রায় ২শ’ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

কৃষক আব্দুল মোমিন জানান, প্রত্যেক বছর যমুনার পানি নেমে যাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় চর জেগে ওঠে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো তারা চরের জমিতে কালো বোরো লাগিয়েছেন। জমির ধান কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পেকে যাবে। কিন্তু তার আগেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল সর্বনাশ করছে কৃষকের।

এদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহাদুজ্জামান জানান, এ উপজেলায় চরের কিছু জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আপাতত কৃষকদের আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

ধুনট উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা আব্দুস ছোবাহান জানান, চরের জমি কালো বোরো ধান চাষের জন্য অত্যন্ত ভালো। তবে এ ফসল চাষে ঝুঁকি থাকে।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

September 2024
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
20G