বনানীর ভিকটিমের পোশাক পরীক্ষার অনুমতি
রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক ভিকটিমের পোশাক রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মহানগর মুখ্য হাকিম মো. দেলোয়ার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান তিনি বলেন, মামলা দায়েরের সময় ধর্ষণের আলামত হিসেবে এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ জব্দ করা হয়। তাতে কোনো ধরনের পুরুষের বীর্য আছে কিনা, তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।’
এ বিষয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্ষণের একমাস পর তরুণীর শরীরে আলামত নাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পোশাক থেকে সহজেই সেই আলামত পাওয়া যাবে। যদি পোশাকে ধর্ষকের বীর্য কিংবা কোনও কোষ বা চুলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়, তবে সহজেই তা ধরা পড়বে ফরেনসিক পরীক্ষায়।
উল্লেখ্য: গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তারা গত শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিব, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী সাকিফ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ঐ দুই শিক্ষার্থীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই