বসন্ত এসে গেছে

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬ সময়ঃ ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:০৪ অপরাহ্ণ

আলমগীর খন্দকার:

bird

শীতের উত্তুরে হাওয়াটা কদিন ধরেই নেই। তার বদলে এলোমেলো দখিনা বাতাস। মনকে জবুথবু করে দেওয়া আবহাওয়াটাই যেন উধাও। বদলে মন উচাটন করে দেওয়া পরিবেশ। তার মানে কী? বসন্ত এসে গেছে?  হ্যাঁ, আজ আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিছে নেশা/ কারা যেন ডাকিছে পিছে, বসন্ত এসে গেছে।

১৪২২ সনের পহেলা ফাল্গুন আজ। সর্ব ঐশ্বর্যময় ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। গ্রামেগঞ্জে প্রকৃতিতে বসন্তের ঢেউ লেগেছে আগেই। শহরে বসে সেটা বোঝা ভার। তবে নগরে আজ তা বোঝা যাবে তরুণ-তরুণীর বাসন্তী রঙা সাজ পোশাকে, প্রাণের উচ্ছ্বাসে।

‘ফুল না ফুটুক আজ বসন্ত’ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এই আপ্তচরণ ছাড়া বাঙালির বসন্ত এখন আর তেমন জমে না। তবে চারপাশে খেয়াল করে দেখুন- প্রকৃতি সত্যিই কতো ফুলের ডালা সেজে বসে আছে। ফুটেছে কৃষ্ণচূড়ারা। ফাগুনের আগুন লেগেছে যেন শিমুল, পলাশ বনে।

প্রকৃতির গায়ক কোকিলের কুহুডাক ছাড়াও বাংলায় বসন্ত আসে না। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কান পাতলেই শুনতে পাবেন এই পরভৃতের মন উদাস করা কুহুতান। পাতার আড়াল থেকে একটানা সঙ্গীকে ডেকে যাচ্ছে সে। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির সব গায়কই আজ জেগেছে। রবি ঠাকুরের কাছে অবশ্যই যেতে হবে- ‘আহা! আজি এ বসন্তে কত ফুল ফোটে, কত পাখি গায়.. ।’ কবিগুরু ছাড়া বসন্ত তো দূরের কথা বাঙালির কোনো উৎসবই পূর্ণতা পায় না।

বসন্ত বরণে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের টাউনহলগুলোতে আজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় রয়েছে বসন্ত-বরণ অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির বই মেলা প্রাঙ্গণ আজ জমে উঠবে বাসন্তীদের ভিড়ে। এ ছাড়া ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, রমনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানী জুড়েই থাকবে প্রাণের উচ্ছ্বাস। প্রাণের এই উচ্ছ্বাসে মন খুলে যোগ দিন আপনিও। সেই কামনায় শুভ বসন্ত.. 

আলমগীর খন্দকার : অতিথি লেখক

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G