বাতাসকে বলো আরেকটু বয়ে বেড়াতে

প্রথম প্রকাশঃ এপ্রিল ১৬, ২০১৭ সময়ঃ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২৬ অপরাহ্ণ

শারমিন আকতার:

হে কবি, সকালের এই ভালো লাগা বাতাসকে অনুভব কর। শুষে নাও তার গতিময়তার মাঝেও বেঁধে রাখা নিয়মের বেড়াজাল। অনুভব কর তার উড়ে বেড়ানো, ঘর থেকে ঘরে, বন থেকে বনে, হৃদয় থেকে হৃদয়ে, মস্তিস্ক থেকে মস্তিস্কে। বাতাসের পরিমিত ধাক্কায় অপরাজিতার লতা-পাতারা দুলছে খুব সাবধানে। একটু কেঁপে উঠছে বেলি ফুলের সদ্য বড় হওয়া ট্রান্সপারেন্ট সবুজ পাতারা।

আর নড়বড়ে আলতো সবুজ রঙের লম্বা আগাছা ঘাসগুলোর দোল খাওয়া দেখে মনে হয় কোনো এক দুলুনি দোল দিয়ে যাচ্ছে অনবরত। এমন নি:শব্দ বাতাসেও যার একটু থামবার জোঁ নেই। খাঁচার ভেতর পাতলা আবরণে ঢাকা পাখিগুলোর ঘুম ভাঙেনি এখনও। আসলে তারা অলস ঘুমের নেশায় আচ্ছন্ন। আপাতত সুরেলা ডাকে ঘর মাতাবার ইচ্ছে নেই। দ্রুত অগ্রসরমান উঁচু দালানের ভেতরে নির্লিপ্ত ভঙ্গীমায় কাজ করে যাচ্ছে একজন অচেনা শ্রমিক। কোথায় কেমন বাতাস বইছে তা নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। তবে দালানের চূড়ায় ঠাঁই বসে থাকা কাকা কাকা করতে থাকা কাকটিকে দেখে মনে হলো খানিকটা সময় সে এখানেই থাকতে চায়। কোনো এক বৃক্ষ সচেতনের পাল্লায় বারান্দার চুপটি করে থাকা বৃক্ষেরা ঝরনা পানির আমেজে সিক্তপ্রায়। দেখে বোঝা গেল না, তারা কি বিচলিত, শিহরিত নাকি যারপরনায় বিগলিত?

বেলা বাড়ছে, সাথে নিস্তব্দতা ভেঙে হলাহলের পূর্ণ আমেজ। হয়তো এ কারণে মৃদুমন্দ হাওয়ার স্পর্শে কারো মনে ছায়ারা খেলা করছে না। স্বপ্নীল বাতাসের আহ্বান চোখের দেখায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য আবারও বড় বেশি অনুভব করছি কবিকে।

হে কবি, তুমি এসে ভেঙে দাও চঞ্চলতা। নির্জনতার চাদরে মুড়িয়ে দিয়ে যাও আবারও সকলকে। বাতাসকে বলো আরেকটু বয়ে বেড়াতে। সময়কে বলো ফেলে আসা সময়ে ফিরে যেতে। হে কবি, তুমি কি বলবে না? সকাল যে যায় যায় করছে।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G