বামাকোর জিম্মি সংকটের অবসান

প্রকাশঃ নভেম্বর ২১, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

maliমালির রাজধানী বামাকোর পাঁচ তারা হোটেল রেডিসন ব্লুর জিম্মি সংকটের অবসান ঘটেছে। অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলার পর দেশটির বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের উদ্ধার করেছে ।বিশেষ বাহিনীর অভিযানের পর ২ জঙ্গি সহ হোটেল থেকে এ পর্যন্ত ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদঃ বিবিসি, রয়টার্স

আঞ্চলিক একটি জিহাদি সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে সংঘটিত এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আল কায়দা ইন দ্য ইসলামিক মাগরেব ও এর অঙ্গ সংগঠন আল মুরাবিতন।

বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীরা রেডিসন ব্লু হোটেলে হামলা চালিয়ে ১৭০ জনকে জিম্মি করে। অভিযানের পর বেঁচে থাকা জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বন্দুকধারীরা কমপক্ষে ২৫ জন জিম্মিকে হত্যা করেছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে হোটেলে আর কোনো জিম্মি নেই। বিশেষ বাহিনীর উদ্ধার অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে।

উদ্ধার অভিযানের সময় বিশেষ বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয় বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালিফ তারওরে জানান।

এ সময় বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা হোটেলটির বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালান। ভেতর থেকে গুলির আওয়াজ শোনা যায় ।

হামলার খবর জানার পর মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বাওবাকার কেইটা চাদে চলমান আঞ্চলিক সম্মেলন সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন হোটেলটিতে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে একদল বন্দুকধারী। এরপর হোটেলে থাকা ১৭০ জন কর্মচারী ও অতিথিকে জিম্মি করে তারা। বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন দেশের বিমানকর্মীরা হোটেলটিতে অবস্থান করছিলেন।mali 2

এক নিরাপত্তারক্ষীর সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, যে সমস্ত জিম্মি কোরআনের আয়াত বলতে পেরেছেন, তাদেরকে বেছে বেছে মুক্তি দেয় বন্দুকধারীরা

মিশেল স্কাপাউলিস নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ঝাড়ু দেওয়ার সময় আমি হোটেলের মালির সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় একদল বন্দুকধারী হোটেলটিতে পৌঁছায়। কূটনৈতিক লাইসেন্স-সম্বলিত একটি স্টিকার তাদের গাড়িতে লাগানো ছিল। তারা ছিল মুখোশধারী। এক কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী তাদেরকে থামার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ দেখে আমরা দৌড়ে পালিয়ে যাই।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলাকারীর সংখ্যা কতজন তা বলা কঠিন। তবে এ সংখ্যা পাঁচ থেকে ১৩ জন হতে পারে। গুলিবিদ্ধ তিনজন নিরাপত্তারক্ষী হোটেলটির প্রধান ফটকের সামনে পড়ে ছিল।

পার্শ্ববর্তী দেশ গিনির জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সেকুবা বামবিনো হোটেলটিতে অবস্থান করছিলেন। বন্দুকধারীরা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বের হয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে কীভাবে ওই গায়ক বের হতে সমর্থ হলেন তা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘গুলির শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ২০-৩০ মিনিট পর আমার মনে হলো এটা সাধারণ কোনো অপরাধ সংগঠনের ঘটনা না।’

ঘটনাস্থলে মালির সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিশেষ বাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/জেডএমলি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G