বিএনপির শ্রমিক নেতার দৌরাত্ম্যে দিশেহারা বাকলিয়ার মানুষ
বিশেষ প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের চকবাজারের পশ্চিম বাকলিয়াস্থ বাকলিয়া হাইস্কুল রোড এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ির সামনে ইট, সিমেন্ট, বালি, রড ফেলে জনগণকে সীমাহীন দূর্ভোগে ফেলেছে একটি অসাধু চক্র।
খোঁজ নিজে জানা গেছে, বিএনপির শ্রমিক নেতা গোলজার হোসেন লেদু এবং মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অনেক দিন ধরে বাকলিয়া এলাকার জনগণকে হয়রানি করে আসছে এই চক্রটি।
উল্লেখ্য, ইট-বালু ব্যবসার নাম দিয়ে এই সিন্ডিকেট বিভিন্ন বাসাবাড়ির সামনের রাস্তা দখল করে রাখছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এভাবে দিনের পর দিন তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। তাদের এই অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করে এবং প্রশাসনের বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দিয়ে এর কোনো সূরাহা হয়নি। উপরন্তু, এই সিন্ডিকেট চক্রের রোষানলে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
স্থানীয় কয়েকজন বিল্ডিং মালিক অভিযোগ করেন, ‘গোলজার হোসেন লেদু গংদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ।প্রায় সময় ঘরের সামনে ইট-বালুর মহাল বানিয়ে তারা আমাদের ক্ষতি সাধন করছে, যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। প্রতিবাদ করলে উল্টো হুমকি-ধমকি ও নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘যত্র-তত্র ইট বালি ফেলার কারণে নালা-নর্দমা ভরাট হয়ে বর্ষার সময়ে এলাকাবাসী পানিবন্ধি হয়ে পড়ে। এছাড়া পয়:নিষ্কাশনের লাইন বন্ধ হয়ে দূগন্ধ সৃষ্টি হওয়ায় এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক এবং বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর চিঠি দেয়া হলেও এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এদিকে বিএনপির শ্রমিক নেতা লেদুর নেতৃত্বে প্রশাসনের নাকের ডগায় তারা ইট-বালি-সিমেন্ট ফেলে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলার পরও কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা সেকারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
তাদের মতে, এখন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় তারপরও কীভাবে বিএনপির শ্রমিক নেতারা দূর্ভোগ ও ত্রাস সৃষ্টি করে পশ্চিম বাকলিয়া হাইস্কুল এলাকায় রাস্তা দখল করে অবৈধ ইট-বালুর ব্যবসা করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির পরও পার পেয়ে যাচ্ছে তা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা দরকার।
জানা যায়, বিএনপি সরকারের সময়েও বিএনপির শ্রমিক নেতা লেদু গংদের অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলো এলাকাবাসী।
প্রতি /এডি/রন