বিজিবি-আরাকান আর্মির সংঘর্ষের কারণ

প্রকাশঃ আগস্ট ২৬, ২০১৫ সময়ঃ ৪:৫৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক

bgbসন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য ঘোড়া নিয়ে আসার ঘটনার জের ধরে বান্দরবানের থানছি উপজেলার দুর্গম রোমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক এলাকায় আজ বুধবার সকাল থেকে বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) ও আরাকান আর্মির সদস্যদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

থানছি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যা হ্লা চিং মারমা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাংসার হেডম্যান জানান, গত সপ্তাহে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতা বাদী আরাকান বাহিনীরা তাদের সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য বান্দরবান থেকে ১০/১৫টি ঘোড়া বড় মদক এলাকায় নেয়ার সময় তিন্দু বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে।

ঘোড়া আটকের ঘটনার জের ধরে সকালে মিয়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদী এএলপি ও আরাকান আর্মির সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে বড় মদক বিজিবি ক্যাম্প ঘেরাও করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে বিজিবির সদস্যরা আত্মরক্ষাতে পাল্টা গুলি চালায়।

বিজিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল হাবিবুল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মালিরাম ত্রিপুরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে। বড় মদক বাজারের দোকান-পাট ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে স্থানীয় এলাকার লোকজন নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে এ ঘটনার পর বান্দরবান মিয়ানমার সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছেন বিজিবি। থানছির বিভিন্ন ক্যাম্পে বিজিবির সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বলিপাড়া বিজিবির ব্যাটালিয়ন থেকে বিজিবির সদস্যদের বড় মদক তিন্দু রেমাক্রী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া খবর পাওয়ার গেছে।

এ ঘটনায় বিজিবি সদস্য নায়েক জাকির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল অলিউর রহমান হেলিকপ্টারে ঘটনাস্থলে গেছেন পৌঁছেছেন। এদিকে অভিযান আরো জোরালো করতে ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টরে অতিরিক্ত সেনা-বিজিবি সদস্য প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G