বিটিআরসির নির্দেশ মানেনি বাংলালিংক

প্রকাশঃ জুলাই ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ৯:০৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

bbbbbbbbbbbbbbbbbbbbbbbbbbবিটিআরসি’র নির্ধারিত সময়ে প্রশাসনিক জরিমানা পরিশোধ করেনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলফোন অপারেটর বাংলালিংক। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকদের অর্থ ফেরৎ দেবার উদ্যোগও নেয়নি অপারেটরটি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ১ মাস সময় দিয়ে বিটিআরসি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠায় । গত ৮ মাস এক মান পূর্ণ জবার পর এ বিষয়ে বিটিআরসি ও বাংলালিংকের কাছে তথ্য চাইলে জানা যায়, বিটিআরসি’র তিনটি আদেশের একটিও মান্য করেনি বাংলালিংক।

চিঠিতে টেলিকম আইন অমান্যের ন্যুনতম শাস্তি হিসাবে প্রশাসনিক জরিমানা বাবদ ১০ লাখ টাকা ১ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়। একই চিঠিতে গ্রাহকের টাকা ফেরৎ দেবার সাথে সাথে তা বিটিআরসিকে প্রতি সপ্তাহে কম্পলায়েন্স রিপোর্ট জমা দেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

প্রশাসনিক আদেশ অমান্যের জন্য টেলিকম আইন ২০০১ (২০১০ সালে সংশোধীত) অনুযায়ী টেলিকম আইনের অনুসারে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা হওয়ার কথা এবং ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য দেয়া সময়ের মধ্যে তা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিন শত কোটি টাকা জরিমানা হওয়ার কথা।

বিটিআরসির ৮ ফেব্রুয়ারি লেখা চিঠি অনুসারে, বাংলালিংক ‘ডেউলি ট্যারিফ প্ল্যান’ নামে তারা ২০১১ সালে একটি প্রমোশনাল সার্ভিস প্রদান করে । ওই সার্ভিসের জন্য বিটিআরসি’র অনুমোদন নেয়া হয়নি। বিটিআরসির কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, ট্যারিফ ডিরেকটিভস ও টেলিকম আইন লঙ্ঘনের জন্য ১০ লাখ টাকার প্রশাসনিক জরিমানা পরিশোধের জন্য এক মাসের সময় পায় বাংলালিংক।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকদের মধ্যে একটিভ গ্রাহকদের তাদের টাকা ১ মাসের মধ্যে গ্রাহকদের টক টাইম রিফিল করে ফেরৎ দিতে হবে। তবে চার্ন গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ দিতে হবে ২ মাসের মধ্যে। তাদের টাকা রিফিলের পাশাপাশি অন্য কোনো উপায়ে ফেরত প্রদান কার্যকরের কথাবলা হয়েছে। অন্য কোনো উপায়ের কোনো ব্যাখ্যা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের টাকা ফেরৎ দেবার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রসহ অন্যান্য সাধ্যম এবং অপারেটরটির ওয়েসবসাইটে বিজ্ঞপ্তি এবং বিজ্ঞাপন আকারে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি সিম ঘোষনা দিয়ে গ্রাহকদের টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে বিটিআরসির সচিব মো. সারওয়ার আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে আছি বলে কিছু বলতে পারছি না। তিনি বিটিআরসির সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তাঁর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানাবেন বলে জানান। তবে কয়েকদিন পার হলেও এ ব্যাপারে আর কোন কিছু জানা যায়নি।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G