বিনিয়োগের উপযুক্ত ক্ষেত্র বাংলাদেশ

প্রকাশঃ মে ৩১, ২০১৫ সময়ঃ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:১৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

tofayelকম খরচে উৎপাদন, সাশ্রয়ী মূল্যে শ্রমশক্তি, অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা, সরকারি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ কাজে লাগাতে বিদেশি উদ্যোক্তরা এ দেশকে বেছে নেবেন বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

শনিবার ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকদের সামনে দেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতি,সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।

‘বাংলাদেশ ২০৩০: নেক্সট বিলিয়ন ডলার অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সম্ভাবনাময় সাতটি খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বিনিয়োগের এসব সুযোগের বিষয়গুলো তাদের দেশের উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে কূটনীতিকদের প্রতি আহবান জানান। সম্ভাবনাময় খাতগুলো হলো- তথ্য প্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পোশাক, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল: অটোমোবাইল ও অবকাঠামো।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। সামনের দিনগুলোতে এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে চীন, জাপান ও কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। এখনও কিছুটা সমস্যা থাকলেও জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, ‘দেশে দক্ষ শ্রম শক্তির পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সহজে পণ্য বিক্রির সুযোগ আছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসতে পারে। বিনিয়োগে আর্কষণীয় প্রণোদনা প্যাকেজ আছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় উৎপাদন ব্যয় এদেশে অনেক কম। টেকসই ও কমপ্লায়েন্স শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ুন ইয়াং, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, তুরস্ক, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও লিবিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/নুর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G