বিলুপ্ত পাখি বাবলার হঠাৎ দেখা
প্রতিক্ষণ ডটকম:
ডানা মেলে তার মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানো দেখা হয়নি অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে। শেষ যেবার তার সাথে দেখা মিলেছিল সেই সালটা ছিল ১৯৪১। আর জায়গাটা ছিল মিয়ানমারের সিতুয়াং নদীর প্লাবনভূমি। অকল্পনীয় হলেও দীর্ঘ ৭৩ বছর পর তার সাথে আবার দেখা। যখন ভেবে বসে আছি তার হয়ত আর কোন অস্তিত্ব নেই এ পৃথিবীতে।
বিলুপ্তপ্রায় এক পাখির কথা বলছিলাম। ‘জার্ডনস বাবলার’ নাম তার। চড়ুই পাখির আকৃতির বাদামি রঙের। ১৮৬২ সালে প্রথম পাখিটির সন্ধান পান ব্রিটিশ প্রকৃতিবিজ্ঞানী টি.সি জর্ডান।
গত বছরের মে মাসে বিজ্ঞানীদের একটি দল মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় বাগো অঞ্চলের তৃণভূমিতে বিভিন্ন পাখির ঘর খুঁজে বের করে। ইরাবতী নদীর তীরবর্তী সবুজ ওই বনভূমিতে বাবলারের খোঁজ মেলে। ঘাসের মধ্যে পাখিটির কিচিরমিচির শব্দ শুনে বিজ্ঞানীরা তা রেকর্ড করে শোনেন। বহু অপেক্ষার পর দেখা মেলে পাখিটির।
বাবলার পাখির এই ডাক সর্বশেষ ১৯৪১ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল। পাখির ডাক রেকর্ড করার পরবর্তী দুইদিন তারা আরো ঐ ‘বিলুপ্ত’ পাখির সন্ধান পান। সর্বশেষ এটি মিয়ানমারের সিতুয়াং নদীর প্লাবনভূমিতে দেখা গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে এই পাখিটি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় মিয়ানমারে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি থাকে। অল্প কিছু তৃণভূমি থাকার কারণে পাখিদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পাখি বিজ্ঞানীরা বলছেন, আরও বেশি গবেষণা হলে এদের সম্পর্কে আরও অনেক বেশি জানা যাবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ