বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ফুলগুলো
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
ফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। তাই আমরা ফুলকে ভালবেসে ফুলদানিতে রাখি, ঘরের টবে ফুলের গাছ পরিচর্যা করি, বাগানে ফুলের গাছের সাথে সময় কাটাই, পাতাবাহারে হাত বোলাই। অবাক ব্যপার হচ্ছে আমাদের চারপাশেই রয়েছে এমন অনেক বিষাক্ত ফুল যেগুলো একটু অসচেতনাতেই মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনের হ্যাম্পশায়ার স্টেটে। সেখানে নাথান গ্রিনওয়ে নামের এক মালি বিষাক্ত মঙ্কসহুড ফুলের সংস্পর্শে এসেছিলেন। আর তাতেই প্রাণটা খোয়া গেছে তার।
সারা বিশ্বের মানুষের সচেতনতা বাড়াতে তাই এমনই মারাত্মক কিছু উদ্ভিদের সঙ্গে পরিচয় ঘঠিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখে নেওয়া যাক এদের পরিচয়।
মঙ্কসহুড
এটি অ্যাকোনাইট নামেও পরিচিত। বড় আকারের লম্বাটে সবুজ পাতা আর বেগুনি রংয়ের লম্বা ফুল। এর স্পর্শে হৃদক্রিয়া বন্ধ হতে থাকবে। ত্বকের ভেতরে নিমিষেই প্রবেশ করে এটি। বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত প্রাণঘাতী উদ্ভিত এটি।
পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায়ই এর দেখা মেলে। সাধারণত নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা যায়। এটি খাওয়ামাত্র ফুসফুস কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে এবং এতে মৃত্যু নিশ্চিত। সক্রেটিসের জীবনাবসান ঘটায় এই হেমলক।
ইংলিশ ইয়েও
লাল গোলাকার ফলের মতো দেখতে। এর পাতাসহ সবকিছুই বিষাক্ত। খেয়ে ফেললে মাথা ঘোরানো, শুকনো মুখ এবং চোখের পিউপিলের প্রসারণ ঘটে। হৃৎস্পন্দন এলোমেলো হয়ে যায় এবং মৃত্যুও ঘটতে পারে।
ফক্সগ্লাভ
বনে জন্মালেও মানুষের কাছে খুব প্রিয় এক আকর্ষণীয় চেহারার কারণে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেগুনি রংয়ের ফুলগুলোর মধ্যে লাল আর হলুদের প্রিন্ট দেখা যায়। এর সামান্য অংশ মুখে গেলে বমি, ডায়রিয়া এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে। ত্বকে স্পর্শ লাগলে চুলকানি হয়।
কুকু পিন্ট
লর্ডস অ্যান্ড লেডিস নামেও সুপরিচিত। বনে-বাদাড়ে জন্মে। ফুলগুলো গোলাকার। এর চারদিকে সবুজ পাতা হুডের মতো ঢেকে রাখে। খাওয়ামাত্র শ্বাস বন্ধ হতে থাকবে। অনেকে এর কারণে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে হয়েছে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল