বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

প্রকাশঃ জুলাই ২৯, ২০১৫ সময়ঃ ৯:১৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

baচলতি অর্থবছরের জন্য ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।

সূত্র জানায়, জিপিডি প্রবৃদ্ধি অর্জনকে প্রাধান্য দিতে আসন্ন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সর্বোচ্চ ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১৫ শতাংশ। এবার তা বেড়ে সাড়ে ১৬ শতাংশ বা এর আশপাশে হতে পারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবং সুদহার নিম্নমুখী হওয়ায় বিনিয়োগ বাড়বে, এমন প্রত্যাশায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তথ্যমতে, ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ব্যক্তিখাতের ভোগে বেশ তেজিভাব ছিল। সে সময় এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয় ৭ শতাংশের বেশি। তবে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ব্যক্তিখাতের ভোগব্যয়ে নিম্নমুখি প্রবণতা শুরু হয়। সে অর্থবছরে দেশে ব্যক্তিখাতে ভোগব্যয় প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০১০-১১ অর্থবছরে আরো কমে দাঁড়ায় ৪ শতাংশে।

২০১১-১২ অর্থবছরে ব্যক্তিখাতের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা আরো কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। তবে ২০১৩-১৪ অর্থবছর ব্যক্তিখাতের প্রবৃদ্ধি অনেক কমে যায়। এ সময় প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ২ দশমিক ৭৩।

গত অর্থবছরের শেষার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য বেসরকারি খাতে সাড়ে ১৫ শতাংশ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে অর্জন হয় ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার যে ঘোষণা দেয়া হয়, তাতে সফলতা এসেছে। জুন শেষে মাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি নিয়ে স্বস্তিতে আছে। ফলে প্রবৃদ্ধি অর্জনে যেসব নীতিনির্ধারণী কৌশল প্রয়োজন, তার সবই থাকবে মুদ্রানীতিতে। ব্যাংকের সুদহার কমে আসছে। তবে ঋণের প্রবাহ বাড়ছে না।

প্রতিক্ষণ / এডি / মেহেদী

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G