ভাইরাস আক্রান্ত পিসির লক্ষণ

প্রকাশঃ জানুয়ারি ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ৭:১৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

আইটি প্রতিবেদক. প্রতিক্ষণ ডটকম:

tranquilnet-The-Danger-of-Contracting-Computer-Viruses-blogমানুষের যেমন বিভিন্ন রোগ বালাই হয় ঠিক তেমনি পিসি এর ক্ষেত্রেও এর বিকল্প কিছু না এটাও এক ধরনের রোগ বলতে পারেন । আর এই রোগ সেই ধরতে পারে যে পিসির সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখে এবং সেই এক মাত্র বুজতে পারে পিসি টি সুস্থ না অসুস্থ ।

একটি পিসি কে ভাইরাস আক্রমন করেছে কিনা সেটা আমরা অনেকে মোটা মুটি বুঝতে করতে পারি আবার অনেকে করতে পারিনা । যাই হোক পিসি কে ভাইরাস আক্রমন করলে আমরা কাজের কিছুটা হের ফের হতে দেখি । একটি পিসি কে ভাইরাস আক্রমণ করে যেসকল লক্ষণ গুলো ধরা পড়ে তা জেনে নিন।

১. প্রথমত যেটা কারণ তাহল – আগের তুলনাই কম্পিউটার চালু হতে অনেক সময় নিবে ।
২. যেকোনো ফাইল এমনি উধাও হয়ে যাওয়া বা না পরিবর্তন হয়ে যাওয়া ।
৩. ড্রাইভের নাম পরিবর্তন হয়ে যাওয়া ।
৪. COM এবং EXE ফাইল আকার কোন কারণ চাড়াই বেড়ে যাওয়া ।
৫. স্ক্রীন এ অদ্ভুত কিছু হাস্যকর ফাইল দেখা ।
৬. অস্বাভাবিক এরর সংকেত প্রদর্শিত হওয়া ।
৭. স্ক্রীন এ অপ্রত্যাশিত শব্দ অথবা ছদি দেখতে পাওয়া ।
৮. নিজে নিজে সিস্টেম এর সময় , তারিখ পরিবর্তন হওয়া ।
৯. ডিস্ক এ ব্যাড সেক্টর বেড়ে যাওয়া । তার কারণ কিছু ভাইরাস তাদের নিজেকে লুকানোর জন্য তাদের অবস্থান কে ব্যাড সেক্টর হিসাবে মার্ক করে দেয় যাতে করে অপারেটিং সিস্টেম বা অন্য কোন প্রোগ্রাম সেখানে না প্রবেশ করতে পারে ।
১০. সাধারন যেকোনো কাজেও ডিস্ক এক্সিস ( Access ) সময় বেড়ে যাওয়া।
১১. যেকোনো ফাইল সেভ বা প্রিন্ট করতে অনেক সময় নেওয়া ।
১২. হার্ড ডিস্ক এর পার্টিশন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে হার্ড ডিস্ক এ থাকা সব ডেটা হারিয়ে যাওয়া ।
১৩. অহেতুক মেমোরি সাইজ কমিয়ে কোন প্রোগ্রাম চালনা ব্যাহত করা । যেমন: Out of Memory বা Insufficient Memory ম্যাসেজ দেওয়া ।
১৪. কম্পিউটার এর কাজ আসতে আসতে ধির হয়ে যাওয়া ।
১৫. প্রোগ্রাম এর মেনু , লিস্ট , অপশন ইত্যাদি অংশ গুলি ঠিক মতো খুজে না পাওয়া ।
১৬. কাজ করতে করতে হটাত হ্যাং হয়ে যাওয়া , কখুন অটো রিস্টার্ট নেওয়া বা সাটডাওন ( Shutdown ) হয়ে যাওয়া ।
১৭. অনেক অনেক সময় BIOS এর প্রোগ্রাম কে সম্পূর্ণ মুছে ফেলে পিসি কে পুরো পুরি ভাবে অক্ষম বা অচল করে দেওয়া ।
১৮. পিসি এর বিভিন্ন ফোল্ডার এর মধ্যে উক্ত ফোল্ডারের নাম এর শেষে .EXE এক্সটেনশনযুক্ত ফোল্ডার পাওয়া ।
১৯. ইমেজ ফাইল সমূহের সাইজ নিজে নিজে একেবারে কমে গিয়ে কয়েক KB তে পরিণত করা এবং তার ফলে সেই ফাইল টি আর ওপেন বা চালু না হওয়া ।
২০. ফাইল এর কিছু অংশে অবাঞ্ছিত ম্যাসেজ প্রদর্শিত হওয়া ।

প্রতিক্ষণ/এডি/ জয়

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G