ভোলার জেলেরা পুনর্বাসনের চাল পায়নি
কামরুজ্জামান শাহীন, ভােলা প্রতিনিধি:
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেঘনা ও তেতুঁলিয়ায় নদীতে মার্চ ও এপ্রিল দু’মাস সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য সরকার জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল মৎস্যজীবী জেলে পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ দিয়ে থাকে। যা মার্চ মাস থেকে জেলেদের মাঝে প্রতি মাসে বিতরণ করার নিয়ম। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা অতিবাহিত হলেও পুনর্বাসনের চাল হাতে পায়নি ভোলার তজমুদ্দিনের জেলে পরিবারগুলো।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা রয়েছে ১৩ হাজার ৪ শত ১ জন। পুনর্বাসনের ভিজিএফ এর আওতায় মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ৪ মাসের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে ৭ হাজার ১ শত ৯৬ জনের নামে ২৮৭ দশমিক ৮৪৫ মেঃ টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। এসব চাল প্রতি মাসে বিতরণ করার নিয়ম থাকলেও তা বিতরণ না করে প্রায় ৮৬৫ মেঃ টন চাল খাদ্য গুদামে পড়ে রয়েছে।
শশীগঞ্জ মাছঘাটের জেলে আলমঙ্গীর মাঝি, তাহের মাঝি, মফিজ মাঝি, জাফর মাঝিসহ অনেকে জানান, দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় অতি কষ্টে আমাদের সংসার চলেছে। চাল বিলি না করায় সরকারের পুনর্বাসন আমাদের কাজে আসেনি।
উপজেলা মৎস্যজীবী জেলে প্রতিনিধি মোঃ তোতা মিয়া মাঝি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা জেলেদের বরাদ্দকৃত চালের ডিও জমা করে রেখেছে। কি উদ্দেশ্যে বিতরন করেনি জানা নেই। অথচ জেলে পুনর্বাসনের চালগুলো বিতরণ করলে কিছুটা হলেও তাদের উপকারে আসত।
খাদ্য গুদামে জেলেদের বরাদ্দকৃত ৪ মাসের চাল পড়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আঃ মন্নান মৃধা বলেন, কাগজপত্র অনুযায়ী অনুমোদিত ডিওতে জেলেদের চাল আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারজান হোসেন বলেন, জেলে পুনর্বাসনের ভিজিএফ চালের ডিও প্রতিমাসে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিতরণ করার দায়-দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের।
চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান বলেন, অন্যান্য ইউনিয়ন বিতরণ শুরু করলে আমরাও বিতরণ করবো।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, পুনর্বাসনের চাল জমা আছে, যা প্রকৃত জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালালউদ্দিন বলেন, জনপ্রতিনিধিদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত প্রকৃত জেলেদের মাঝে পুনর্বাসনের চাল দ্রুত বিতরণ করা জন্য।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই