ভ্রণ অবস্থায় শিশুর আচরণ পরিবর্তন সম্ভব!
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
জেনেটিকসের উন্নতির ফলে শতভাগ দক্ষতার সঙ্গে নকশাকৃত শিশু পাওয়া সম্ভব বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি চীনের বিজ্ঞানীরা মানুষের ভ্রণে জিনগত পরিবর্তন ঘটানোর দাবি করেছেন। তারা সমস্যার জন্য দায়ী একটি জিন ভ্রূণ থেকে সরিয়ে ফেলতে ব্যবহার করেছেন বিতর্কিত একটি পদ্ধতি । প্রযুক্তি ও ব্যবসা বিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডারে উঠে এসেছে সেই তথ্য।
তবে চীনা বিজ্ঞানীদের মানব ভ্রূণ নিয়ে এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা থেকে সরে আসতে বলছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল গবেষক। তাদের দাবি, বিতর্কিত যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করে মানব ভ্রূণে জিনগত পরিবর্তন করা হচ্ছে, তা নিরাপদ কি না বা প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটি আছে কি না, সে প্রভাবগুলো খতিয়ে দেখার আগ পর্যন্ত এ ধরনের গবেষণা করা ঠিক হবে না। তারা বলছেন, বিশেষ জার্ম লাইন প্রক্রিয়ায় জিনগত যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে তা বিপজ্জনক ও নৈতিকতাবিরোধী। এই পদ্ধতিতে মানুষকে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বা ইচ্ছানুযায়ী সন্তান নিতে উৎসাহী করবে। মানুষ তাঁদের কাঙ্ক্ষিত জিনগুলোই কেবল ভ্রূণের মধ্যে চাইবে। এতে কেবল ‘নকশা করা’ শিশু জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে।
এ শতকের বায়োটেকনোলজির সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হবে জন্মের আগেই ঠিকঠাক করে রাখা বা নকশা করে রাখা শিশু ও সম্পাদনা করা মানুষের জন্মের ঘটনা। নকশাকৃত এ ধরনের শিশু হবে দারুণ চটপটে, রোগমুক্ত, শারীরিকভাবে দক্ষ। এই শিশু যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির শিশুদের মতো হবে, তা না বললেও চলছে।
কিছু গবেষক এ ধরনের গবেষণার ফল অনৈতিক কাজে ব্যবহারের আশঙ্কা করলেও কিছু গবেষক মনে করছেন ক্যানসারের মতো কিছু রোগের চিকিৎসায় এ ধরনের গবেষণা কাজে লাগানো যাবে। নেচার সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের গুয়াংজুর সান ইয়েতসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা প্রোটিন অ্যান্ড সেল সাময়িকীতে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। গবেষণা কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন গবেষক জুনজিউ হুয়াং।
গবেষক জুনজিউ দাবি করেছেন, অকার্যকর ভ্রূণ ব্যবহার করে তাঁরা এই গবেষণা করেছেন যা শিশু হিসেবে জন্ম নিতে সক্ষম নয়। রক্তের সমস্যা বা বেটা-থ্যালাসেমিয়া তৈরির জন্য দায়ী জিনটিকে সিআরআইএসপিআর/ক্যাস ৯ নামের পদ্ধতিতে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে জিনের নির্দিষ্ট অংশ পরিবর্তন করে ফেলা সম্ভব হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল