ব্ল্যাক ম্যাজিকের মাধ্যমে শরীরে সুঁই ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা !

প্রকাশঃ মে ৩, ২০১৫ সময়ঃ ১:২৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:

Black Magic গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২ বছর বয়সী একটি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। চিকিৎসকরা যখন তাকে পর্যবেক্ষণ করলেন, বিস্ময়ে  হতবাক হয়ে গেলেন। এক্সরে রিপোর্টে শিশুটির শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে পাওয়া গেল ৫০টির মতো ধাতব সুঁই! এ সুঁইগুলো ছেলেটির শরীরে এমনি এমনি প্রবেশ করেনি! চিকিৎসকদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই সুঁইগুলো কেউ একজন খুব সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে অনেকদিন ধরে তার দেহের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আরও ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে, ৫০টি সুইয়ের মাঝে ১৭টি ছিল বাচ্চা ছেলেটির পরিপাকতন্ত্রের ভেতরে! অবিলম্বে পুলিশের তদন্ত শুরু হলো। পুলিশের ধারণা, কেউ একজন ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর অংশ হিসেবে ছেলেটির দেহে সুঁই ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কে করলো এই ভয়াবহ কাজ?

প্রথম সুঁইটি পাওয়া গেল শিশুটির বাম ফুসফুসের ভেতরে। হতবিহবল চিকিৎসকরা এক্সরে করার পর দেখলেন, শিশুটির পেট, গলা, ঘাড় ও পায়ে মোট ৫০ টির মতো সুঁই ঢুকানো হয়েছে। চিকিৎসক ও পুলিশ নিশ্চিত যে, ছেলেটি ভয়াবহ ব্ল্যাক ম্যাজিকের শিকার হয়েছে।

blackmagicশিশুটিকে তার এক আত্মীয় হাসপাতালে নিয়ে আসে কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করেনি ডেইলি মেইল।

ছেলেটির মায়ের নাম মারমা ‘সু’জা স্যান্তস’। তিনি পুলিশকে জানান, যখন তিনি কর্মস্থলে যেতেন তখন শিশুটিকে দেখাশোনা করতেন শিশুটির দাদীমা। কিন্তু কেউ নিশ্চিত নন, শিশুটির দেহে কে সুঁই ঢুকিয়েছেন। প্রতিবেদনে প্রকাশ, শিশুটির দাদীমার মতে শিশুটির দেহে সুঁই ঢুকিয়েছে তার সৎ বাবা। যদিও তিনি সেটা অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ ছিল, তিনি ব্ল্যাক ম্যাজিক অনুশীলন করতেন।

পুলিশ প্রধান ‘হেলডার ফার্নান্দেজ সান্টানা’ বলেন, ‘আমরা এখনো নিশ্চিত নই কে এবং কেন এই জঘন্য কাজটি করেছে। হতে পারে এটা একটি হত্যা চেষ্টা কিংবা শিশুটির প্রতি কারো প্রতিশোধ স্পৃহা। আমরা সব সম্ভাবনাই মাথায় রাখছি’।

চিকিৎসকরা ছেলেটির ত্বকের নিচে থাকা সুঁই গুলো বের করতে সক্ষম হলেন। কিন্তু ‘লুই সিজার’ বলেন, ‘দেহের বেশ গভীরে থাকা সুঁই গুলো নিয়েই হয়তো শিশুটিকে বাকি জীবন বেঁচে থাকতে হবে। কারণ, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এগুলো বের করতে গেলে বাচ্চাটির জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।‘ তিনি আরো জানান, এর আগে কখনো তিনি এরকম ঘটনা দেখেননি। তিনি নিশ্চিত, এই সুঁইগুলো শিশুটি নিজ থেকে গিলে ফেলেনি। যদিও এরপর শিশুটি ছিল বিপদমুক্ত, অন্তত সে সময়ের জন্য।

সেই মানব সভ্যতার শুরু থেকেই যাদুবিদ্যা আর যাদুকর এই দুইয়ের প্রতিই মানুষের আগ্রহ সীমহীন। পৃথিবীর মানুষের লোকসংস্কারের  বড় অংশই হলো যাদুবিদ্যা। যাদুবিদ্যা মূলত: অতিন্দ্রিয় আর প্রাকৃতিক শক্তিকে বশ করার বিদ্যা! ইংরেজি ম্যাজিক শব্দের উদ্ভব হয়েছে ফার্সি মাজি থেকে! মাজিরা যে সব ক্রিয়া-কর্ম পালন করতো, গ্রীকরা তাকেই ম্যাজিক বলে অভিহিত করতেন! আধুনিক যুগে ব্ল্যাক ম্যাজিকের সংখ্যা কমে এলেও পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়নি।  আফ্রিকার কিছু কিছু এলাকায় এখনো চর্চা হয় কালো যাদু বিদ্যার। সম্প্রতি ব্রাজিলে এরকম ব্ল্যাক ম্যাজিকের এই ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে।

এরকম আরো কিছু নিউজঃ


## যে হোটেলের কর্মীরা কখনও ছুটি নেয় না!

## ছাগল জন্ম দিলো মানব শিশু !

## তবে কি সেটা ভুত ? (ভিডিওসহ)

## চালকের কাছে ‘দুঃস্বপ্ন’ যে ব্রিজ!

## শুক্রাণু দিয়ে তৈরি হচ্ছে কসমেটিক


প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G