মাজারে হামলার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া পাকিস্তান
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর জানিয়েছে, নিরাপত্তা অভিযানে ১০০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা ছাড়াও ‘বহু সংখ্যক’ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার পরপরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ এর জন্য দায়ীদের ছাড়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেনা প্রধান জাভেদ বাজওয়ার বলেছিলেন, প্রতিটি রক্তবিন্দুর বদলা নেয়া হবে।হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশজুড়ে চিরুণী অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পুলিশের সন্ত্রাস-বিরোধী বিভাগ (সিটিডি)।
মাজারের প্রধান রক্ষক সৈয়দ রাজা শাহ সাবজওয়ারি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের হামলার কোন পরোয়া করেন না তারা। তিনি বলেন, এরকম হামলা দিয়ে কাউকে বিরত করা যাবে না। বহু শতাব্দী ধরেই এরকম কাপুরোষোচিত হামলা চলছে। কিন্তু এতে করে ভক্তদের সংকল্প বরং আরও দৃঢ় হচ্ছে।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, “সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পেছনে জড়িত নেটওয়ার্কগুলো খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অগ্রগতি অর্জন করেছে।” মাজারে বোমা হামলার পরপরই পাকিস্তান দাবি করে, আফগানিস্তানের সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জঙ্গি আস্তানাগুলোতে বোমা হামলাটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। আফগানিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলো পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিচ্ছে বলে দাবি করে দেশটির সেনাবাহিনী। মাজারে বোমা হামলার পরপরই নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত পথগুলো বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। আফগানিস্তানে আশ্রয় নেওয়া ৭৬ জন ‘সন্ত্রাসীকে’ পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর দাবিও জানিয়েছে তারা।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল