মান্না ১০ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫ সময়ঃ ৪:২৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:২৪ অপরাহ্ণ

আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

mannaনাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার বিকেলে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান-এর আদালতে মান্নার রিমান্ড শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আদালত।

দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল বারেক ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। বেলা সোয়া ৩ টার দিকে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়।

এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে দুপুরের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। এ উপলক্ষে আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। বিকেল সোয়া তিনটার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাকে নেয়া হয় আদালত এজলাসে।

মঙ্গলবার রাতে গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীকে বিদ্রোহে উসকানি দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। দণ্ডবিধি আইনের ১৩১ ধারার এ মামলা জামিন অযোগ্য। সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে র‌্যাব-২ এর একটি দল মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

তিনি বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীকে উসকে দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের হয়েছে, যার নম্বর ৩২। ১৩১ ধারায় দয়ের করা এই মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা।’

কথোপকথন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফোনের অডিও যাচাই বাছাই করে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হবে। ওই সাধারণ ডায়েরি তদন্ত করে পুনরায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হতে পারে।’

মান্নার পরিবারের দাবি, বনানীতে তার ভাইয়ের বাসা থেকে মঙ্গলবার ভোরে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করা ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ নিয়ে বিএনপি’র নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে মান্নার কণ্ঠের মতো এক ব্যক্তির ভাইবারে কথোপকথন নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের দুদিন পর নিখোঁজ হন ডাকসুর সাবেক ভিপি। নিখোঁজের ২১ ঘণ্টা পর তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব।

প্রতিক্ষণ /এডি/বাবর

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G