মালয়েশিয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি বৃহস্পতিবার
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় আগামী তিন বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নিয়োগ বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম আজ সোমবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
বার্তাসংস্থা ইউএনবি জানায়, বাংলাদেশ থেকে জি-টু-জি প্লাস (সরকার থেকে সরকার) প্রক্রিয়ায় আগামী তিন বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া। এর আগে গত সপ্তাহের সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে সমঝোতা খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, এই সমঝোতা স্মারক কার্যকর হলে ২০১২ ও ২০১৪ সালের এ-সংক্রান্ত চুক্তি বা সমঝোতাগুলো বাতিল হবে।
তিনি বলেন, আগের বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) এবং জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় এবার সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো হবে।
এই চুক্তির আওতায় কাজ নিয়ে মালয়েশিয়ায় যেতে মাথাপিছু ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকা খরচ হবে এবং এই টাকা নিয়োগকর্তাই বহন করবে। এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আগের নেওয়া উদ্যোগগুলোর ক্ষেত্রে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
তবে জি-টু-জি প্লাস চুক্তির ক্ষেত্রে বায়রা সহযোগিতামূলক কিছু কাজে অংশ নেবে। এ ক্ষেত্রে তারা নির্ধারিত কিছু ফি-ও নিতে পারবে।
মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে দুই দেশ সমঝোতা স্মারকে সই করার পর জনশক্তি রপ্তানির মূল কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়া আগের তুলনায় স্বচ্ছ হবে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং নারী-কর্মীদের যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
নতুন পদ্ধতিতে কর্মীদের বেতন কত হবে তা না জানালেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, কর্মীদের বেতন সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পরিশোধ করা হবে। নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে ঢাকায় মালয়েশিয়া হাই কমিশন থেকে সত্যায়িত হতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির বড় বাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশি সেখানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/ফর