মিউনিখ হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
জার্মানির মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ এ দাঁড়িয়েছে। এদিকে আহত হয়েছেন ২১ জন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ও কিশোর রয়েছে।
মিউনিখ পুলিশপ্রধান হুবার্তাস আন্দ্রে বলছেন, তারা হামলাকারীর খোঁজে নেমে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন; যিনি আত্মহত্যা করেছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনিই ছিলেন হামলাকারী।নিহত এই হামলাকারীর বিস্তারিত পরিচয় না পাওয়া না গেলেও আন্দ্রে এটুকু নিশ্চিত হয়েছেন যে, তিনি ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। গেল দু’বছরেরও বেশি সময় তিনি মিউনিখে বাস করছিলেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, কমপক্ষে তিন হামলাকারী মিলে শুক্রবার মিউনিখের ওই শপিংসেন্টারে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা বলছে, একজন হামলাকারী পিস্তল নিয়ে ওই হামলা করেছে। হামলার পর সে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে। সন্দেহভাজন হামলাকারীর মৃতদেহটি পাওয়া গেছে অলিম্পয়া শপিং সেন্টারের প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে। তার সঙ্গে একটি লাল ব্যাকপ্যাক ছিল। ওই ব্যাগপ্যাকটিতে কোন বিস্ফোরক আছে কিনা রোবট ব্যবহার করে পুলিশ তা পরীক্ষা করে দেখছে।
এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন। জার্মানির যেকোনো সঙ্কটে পাশে থাকারও অঙ্গীকার করেছেন এসব দেশের রাষ্ট্র নেতারা। গত সোমবারই জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ভুর্সবুর্গে ট্রেনে কুড়াল নিয়ে হামলা চালিয়ে চার যাত্রীকে আহত করে এক কিশোর। পরে পুলিশের গুলিতে ওই আফগান বংশোদ্ভুত ওই কিশোর নিহত হয়।
আন্দ্রে বলেছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে এক ব্যক্তি গুলি করা শুরু করেন। প্রথমে পুলিশ ভেবেছিল হামলাকারী মোট তিনজন। সে অনুযায়ী অভিযান শুরু করে তারা। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ মৃত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, এই ব্যক্তিই হামলাকারী এবং হামলায় তিনি একাই ছিলেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলার সময় ওই ব্যক্তি আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করছিল।
প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম