মোরেলগঞ্জ পানগুছিতে ট্রলার ডুবি; নিহত ৫, নিখোঁজ অর্ধশত
শামীম আহসান মল্লিক, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে ৫ জন মারা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে অনেকে এবং নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশত। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, কাছাকাছি থাকা নৌবাহিনীর জাহাজের ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটি উল্টে যায়।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে মহিলা, বৃদ্ধ, শিশুসহ প্রায় অর্ধশত নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার সময় মোরেলগঞ্জের ছোলমবাড়িয়া বাস ষ্ট্যান্ড থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে মোরেলগঞ্জে পশ্চিম পাড়ে আসছিল। ট্রলারটি কিনারের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে খুলনার অভিমুখে যাওয়া একটি নৌবাহিনীর জাহাজের (পি-৩১২) ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি উল্টে ডুবে যায়।
উল্টে যাওয়া ট্রলার থেকে ৫০-৬০ জন যাত্রী সাঁতার কেটে কিনারে উঠতে পারলেও অধিকাংশ যাত্রীই নিখোঁজ রয়েছে। আহত ও উদ্ধারকৃত যাত্রীদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন, বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের মহাসিন আলীর স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৮), গুয়াবাড়িয়া গ্রামের হাসেন হাওলাদারের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৫০) ও চিংড়াখালী গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী সুফিয়া (৭৫)।
নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছে, কাছিঘাটা গ্রামের হেলেনা বেগমের ৬ বছরের বাচ্চা, ছোট জামুয়া গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৩৮), উত্তর ফুলহাতা গ্রামের হাসিব (৮), ছোটপড়ি গ্রামের নাসিমা আকতার (১৮), রায়েন্দা বাজারের আবির (১৭), বদনিভাঙ্গা গ্রামের বশির (২২), কাছিকাটা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখ, বরুজবাড়িয়া গ্রামের সুলতান আহমেদ (৬০) ও ভাইজোড়া গ্রামের খাদিজা (৪০)। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মোরেলগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রেবেকা খাতুন, খাদিজা বেগম ও আবুল খায়েরকে।
এ দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার (এসপি) মনির হোসেন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল জোয়ারের কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। তার কাছে ১৩ জন নিখোঁজের তালিকা রয়েছে বলেও জানান।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ