যশোরে ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলা
জেলা প্রতিবেদক
যশোরে জেলা প্রশাসনের এক ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে উপশহরের এফপিএবি রেস্টহাউজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
উপশহর বি ব্লক এলাকার শাহিন ও রবিউল নামে দুই যুবক এই হামলা চালিয়েছে। পরে তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে উপশহর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজগর আলী পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। একইসাথে আটক করা হয়েছে হামলায় জড়িত শাহিনের ভাই লিটন ও রবিউল ইসলামের ভাই রেজাউলকে।
তবে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষণিক কেউই ওই ম্যাজিস্ট্রেটের নাম পরিচয় বলতে রাজী হননি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র মতে, মঙ্গলবার রাতে উপশহরের এফপিএবি রেস্টহাউজে অবস্থান করছিলেন জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। রাত ৮টার দিকে তিনি রেস্টহাউজের দ্বিতীয় তলার বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় নিচে উপশহরের বি-ব্লকের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শাহিন ও নুর মোহাম্মদের ছেলে রেজাউল রেস্টহাউজের সামনেই অবস্থান করছিলেন। তাদের অবস্থান সন্দেহজনক হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দিকে নজর রাখছিলেন। বিষয়টি এই দুই জন বুঝতে পেরে নিচে থেকে চিৎকার দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে ‘কি দেখছেন’ বলে ধমক দেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচয়ও জানতে চান শাহিন ও রেজাউল। ম্যাজিস্ট্রেট তাদের নিচের দারোয়ানের কাছ থেকে পরিচয় জেনে নিতে বলেন। তখন এই দুই জন ম্যাজিস্ট্রেটকে গালি দেন।
এসময় দুই তলা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিচে নেমে এলে তার ওপর হামলা করেন শাহিন ও রেজাউল। এসময় দারোয়ানসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ম্যাজিস্ট্রেটকে রক্ষা করে ওই দু’জনকে আটকে রাখেন।
বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রট তাৎক্ষণিকভাবে যশোর জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। পরে জেলা প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে যান এএসপি ভাস্কর সাহাসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। কিন্তু এর আগেই উপশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আজগর আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাহিন ও রেজাউলকে জনগণের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন। পরে তারা পালিয়ে যায়। এতে পুলিশ ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান কাজী আজগর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত শাহিনের ভাই লিটন ও রবিউল ইসলামের ভাই রেজাউলকে আটক করেছে পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) শেখ গণি মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, চেয়ারম্যান কাজী আজগর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে হাজির করা হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে এ ব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রদান বা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানিয়েছেন, আপনারা সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যান, থানা পুলিশের সাথে কথা বলেন, তাহলেই সব খবর পাবেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর