যেভাবে কানের যত্ন নিবেন
হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম
আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের একটি কান । দেহের ভারসাম্যপূর্ণ একটি অঙ্গও কান। কান আমাদের শব্দ শুনতে, ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
কানের যথাযথ যত্ন না নেওয়ার কারনে মাঝে মাঝে আমরা কানের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগি। যেমন কানের লতি ব্যাথা হওয়া, কান দিয়ে পুজ বের হওয়া, কানের ভিতরে পর্দা ফেটে যাওয়া, কানের ভিতরে ছোট ছোট ব্রণ হওয়া, কান বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সব সমস্যার জন্যই যে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এমনটি নয়। সঠিকভাবে কানের যত্ন নিলে আপনিও কানের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে কানের সঠিক যত্ন নিতে হবে সে সম্পের্ক।
আমরা অনেকেই কানের গঠনপ্রণালী জানি না। আর না জেনেই অনেকেই কান নিয়ে অনেক প্রকার খোঁচাখুঁচি করি। যেটা মোটেই ঠিক নয়।
কানের ভিতরে ‘টিমপেনিক মেমব্রেন’ নামক একটি পর্দা আছে যা শব্দ ভারসাম্য রক্ষার্থে সাহায্য করে।প্রতি সপ্তাহে এক বার কটন বাড দিয়ে কানের ভিতরে আলতো করে ঘুরিয়ে পরিষ্কার করবেন। খেয়াল রাখবেন যাতে একেবারের ভিতরের পর্দায় কোন প্রকার আঘাত না লাগে। কটন বাডে হালকা সরিষার তেল লাগিয়ে কান পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে কানের ভিতরের ময়লা সহজে কটন এর সাথে বেরিয়ে আসবে।
কখনো ম্যাচের কাঠি, পাখির পালক বা চিকন শলাকা দিয়ে কান পরিষ্কার করবেন না। এতে আপনার কানের পর্দার ক্ষতি হতে পারে বা ফেটে যেতে পারে।
গোসলের সময় অনেকেরই কানে পানি ঢুকে যায়। কানে যাতে পানি না ঢুকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আর যদি ভুলবশত কানে পানি ঢুকেই যায় তাহলে বিপরীত কান উপরের দিক রেখে আক্রান্ত কান নিচের দিকে রেখে আঙ্গুল দিয়ে আস্তে করে ঝারা দিন। কানের পানি সরে যাবে। কানে যাতে কোনভাবেই সাবান বা শ্যাম্পুর পানি না ঢুকে সেদিকেও খেয়াল রাখবেন।
কানের ভিতর পশম জমলে তা যথাসম্ভব ছোট করে কেটে রাখুন। কানের উপরেও যাতে মাথার চুল বাড়তি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কেননা বাড়তি পশম বা চুল আপনার কানের বহিঃপর্দার সাথে ঘর্ষণে বা ভিতরে ঢুকে গিয়ে কানের ক্ষতি করতে পারে।গোসলের সময় কান শুধু হাত ভিজানো পানি দিয়ে আলতো করে পরিষ্কার করে নিন।
মেয়েরা কান ছিদ্র করার জন্য দক্ষ ব্যক্তির সাহায্য নিন এবং কান ছিদ্র করান।কানে ভারি ভারি দুল বা অলংকার পরিধান করবেন না। এতে করে আপনার কানের লতি লাল হওয়া বা ব্যথা হওয়া থেকে সুরক্ষা পাবে।
আর বড় ধরনের কোন সমস্যায় পড়লে দেরী না করে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এমআরজে