রাকিব হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল
জেলা প্রতিবেদক
পৃথিবীর নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে খুলনার চাঞ্চল্যকর শিশু শ্রমিক রাকিব হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে শরীফ, মিন্টু ও শরীফের মা বিউটি বেগমকে আসামি করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম এমএলবি মেছবাহ উদ্দিনের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ মনিটরিং করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে রাকিব হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল সংক্রান্ত বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। ব্রিফিংয়ে কেএমপির কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি বলেন, শিশু রাকিব হত্যাকাণ্ডটি পৃথিবীর একটি নিকৃষ্টতম ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাকে অন্য সব কাজ থেকে বিরত রেখে এ মামলার চার্জশিট প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্য চার্জশিট দেওয়ার জন্য খুলনাবাসীর কাছে ওয়াদা করেছিলাম। তা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ মামলাটি মনিটরিং করবে। এসময় নিহত রাকিবের বাবা মো. আলম হাওলাদার, মা লাকি বেগম এবং বোন উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ জানান, মামলায় শরীফ, মিন্টু ও শরীফের মাকে আসামি করা হয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে ৪০ জনকে। ইতোমধ্য আসামিসহ চারজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। যা মামলার বিচারকে তরান্বীত করবে।
তিনি বলেন, শিশু রাকিব মারা যাবার ৩/৪ মাস আগে নগরীর টুটপাড়া কবরখানা মোড়ের শরীফের গ্যারেজে কাজ করতো। কিন্তু কম বেতন এবং নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাকিব সম্প্রতি পিটিআই মোড়ের নাসিরের গ্যারেজে কাজ নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান শরীফ। শিশু রাকিবকে উচিত শিক্ষা দিতেই গত ৩ আগস্ট বিকেলে রাকিবকে ধরে তার মলদ্বারে কম্প্রেসার মেশিনের পাইপ ঢুকিয়ে পেটে হাওয়া দিয়ে হত্যা করেন। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার বেশি সময় অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে মারা যায় শিশু রাকিব।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ শরীফের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেওয়া কম্প্রেসার মেশিনটি উদ্ধার করে।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ