উত্তরায় জাপানি নারীর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে জাপানি নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।। ঐ নারীর নাম হিরোয়ি মিয়েতা। তার বয়স আনুমানিক ৫৫।
উত্তরা জোনের ডিসি বিধান ত্রিপূরা জানান, জাপানি ঐ নারী দশ বছর ধরে বাংলাদেশে চাকরি করেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। জাপান দূতাবাস থেকে বিষয়টি আমাদের জানানো হলে আমরা উত্তরা এলাকা থেকে ঐ নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে জাপানি নারীকে হত্যার পর তার লাশ উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় কবরস্থানে মুসলমান পরিচয়ে দাফন করা হয়েছে। হত্যার ঘটনাটি এক প্রকার চাপা পড়েই গিয়েছিল। নিহতের মা এবং জাপান দূতাবাসের তৎপরতায় ঐ নারীকে হত্যার পর গোপনে লাশ দাফন করার তথ্য বেরিয়ে আসছে। এখন কবর থেকে তার লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
জানা গেছে, হিরোয়ি মিয়েতা উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে ১৩/বি নম্বর সড়কের ৮ নম্বর হোল্ডিংয়ে সিটি হোমস নামে একটি ডরমেটরিতে থাকতেন। তবে আগস্ট মাসে ওই নারীকে সেখান থেকে সরিয়ে ভাটারা থানা এলাকার একটি বাসায় রাখেন তার ব্যবসায়িক পার্টনাররা।
হিরোয়ি প্রতিদিন জাপানে বসবাসরত মাকে টেলিফোন করে নিজের অবস্থা জানাতেন। ২৬ অক্টোবর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তার মা। ফলে মেয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার মা বিষয়টি ঢাকায় জাপান দূতাবাসকে অবহিত করেন।
জাপান দূতাবাসের পক্ষে ভাইস কাউন্সিলর কুসুকি মাৎসুনা প্রথমে বিষয়টি থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান। পরে ১৯ নভেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় হিরোয়ি নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর-৯৩৫। জাপান দূতাবাসের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরির পর ঘটনা অনুসন্ধানে তৎপর হয় পুলিশ।
পরে, এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় রোববার রাতে মামলা করেছে পুলিশ। দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় করা মামলার নম্বর ১১। বাদী উত্তরা পূর্ব থানার অপারেশন অফিসার মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় অন্তত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে কমপক্ষে চারজনই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি