রাজীব হত্যায় দুজনের মৃত্যুদন্ড বহাল

প্রকাশঃ এপ্রিল ২, ২০১৭ সময়ঃ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া একজনের যাবজ্জীবন ও পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখা হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অনুমতির আবেদন) ও আপিলের রায় ঘোষণা করেন। বিচারকরা বাংলা ভাষায় রায় পড়েন।

এ মামলায় গত বছরের ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। চলতি বছর ৯ জানুয়ারি এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়। সেদিনই মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে রাজধানীর পল্লবীতে তাঁর বাসার সামনে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিনের করা মামলায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

রায়ে মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমুদ্দীন রাহমানীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ রায়ের পর মামলার নথি গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে আসে। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/রাহা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G