রামপুরায় নিজ ফ্ল্যাটে আইনজীবীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ
নিউজ ডেস্ক,প্রতিক্ষণ ডট কম.
পশ্চিম রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের ডি ব্লকের ‘বন্ধন’ নামে ১০৫ নম্বর বাড়িতে নিজ ফ্লাটে একাই থাকতেন ফাহমিদা আক্তার। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মরহুম আকতার উল আলমের মেয়ে ফাহমিদা। পেশায় আইনজীবী। স্বামী ও একমাত্র ছেলে দুজনেই থাকেন দেশের বাইরে।
শুক্রবার সকালে বাড়ির গৃহকর্মী রান্না করতে এসে বিছানার ওপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফাহমিদার মরদেহ দেখতে পান। পরে ফাহমিদার স্বজনদের খবর দেন গৃহকর্মী।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই রেজওয়ান উল আলম গৃহকর্মীর কাছে খবর পেয়ে এই বাড়িতে আসেন। এরপরই নিহতের চোখে মরিচের গুঁড়া ও হাত-পা বাধা অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। এছাড়া গলায় কাপড় পেচানো ছিল বলেও জানান। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে মূল্যবান কোনো কিছু খোয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
হত্যার সঙ্গে পরিচিত কেউ-ই জড়িত বলে ধারণার কথা জানান। হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নিহত ফাহমিদার বড় ভাই।
রামপুরা থানা পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিক্ষণকে বলেন,
তবে কে বা কারা এ হত্যা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে পরিকল্পিতভাবেই ফাহমিদাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তদন্তের পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহকর্মী ও দারোয়ানকে আটক করা হয়েছে।