রিমান্ডে রেশমার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
রাজশাহী ব্যুরো, প্রতিক্ষণ ডট কম.
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় গ্রেফতার নাসরিন আখতার রেশমা রিমাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সেই সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হয়নি। দুই দিনের রিমাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে রেশমাকে।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নাসরিন আখতার রেশমাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রেশমার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। ওই তথ্যগুলো মামলা তদন্তের গতি বাড়াবে। তবে এখনই তা বলা যাবেনা বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
এর আগে ড. শফিউল হত্যাকাণ্ডের পর কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতরের সহকারী সেকশন অফিসারের দায়িত্বে থাকা রেশমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রেশমা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাবের হাতে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে গ্রেফতার আবদুস সামাদ ওরফে পিন্টুর স্ত্রী।
হত্যাকাণ্ডের পর সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব দাবি করেছিল, রেশমার সঙ্গে অধ্যাপক শফিউলের ‘অসৌজন্যমূলক আচরণের’ কারণেই হত্যার পরিকল্পনা করেন তার স্বামী পিন্টু। গত ৬ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডি এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রেশমাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যাপক শফিউল হত্যার ঘটনায় রেশমা ডিবি পুলিশকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাবি সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন। পরে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর র্যাবে হাতে গ্রেফতার ৬ জন ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫ জনসহ যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমাণ্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/রেজাবেগ