রূপকল্প নিয়ে বিকেলে খালেদার সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ মে ১০, ২০১৭ সময়ঃ ১:২২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:২৩ অপরাহ্ণ

ফাইল ছবি

রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির রূপকল্প ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রায় ২৫০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, কূটনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আগামী নির্বাচনে সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল না দিতে দল গোছানোর পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে পূর্বঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’র রূপরেখা তৈরি করছে দলটি। ‘ভিশন-২০৩০-এ কী চমক থাকছে তা নিয়ে অনেকের মাঝেই কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলে আসছেন, রাজনীতিতে নতুন ধারা ও অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি থাকবে ‘ভিশন-২০৩০-এ। তাদের এমন বক্তব্যে অনেকের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন স্বপ্ন ও প্রত্যাশার।

রূপরেখায় যা যা থাকছে

রূপরেখায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক চরিত্র ঠিক রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার সংস্কার ও সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করা; ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সুনীতি, সুশাসন ও সুসরকারের সমন্বয় ঘটানো; গণভোট ফিরিয়ে আনা; নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ সাংবিধানিক ও আধা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা; উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত আইন করা; ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, মাথাপিছু আয় পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে নেওয়ার জন্য বিএনপির পরিকল্পনায় বিস্তারিত থাকবে।

এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, যোগাযোগ, শিল্প, বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন খাতওয়ারি পরিকল্পনাও থাকবে। দলটির নেতারা বলছেন, জনগণ ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যে এই রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এরআগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ভিশন ২০৩০-এ কী কী থাকবে, বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে কী কী কাজ করবে, দেশকে কীভাবে উন্নত করবে, সেগুলোই শুধু খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে জানাবেন। তবে এই প্রস্তাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ও সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।

দলের বিগত কাউন্সিলে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিএনপির ভিশন ২০৩০ এর মূল দিক দু’টি। একটি ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, যার মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারে। এজন্য বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত করার সৃজনশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত উদ্যোগ নেয়া হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। এক্ষেত্রে সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট করা ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা।

এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেশবাসী গভীরভাবে উপলব্ধি করছে যে, প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের ছদ্মাবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে। এই অবস্থার অবসানকল্পে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক চরিত্র অক্ষুণ্ন রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সম্প্রদায়, প্রান্তিক গোষ্ঠী ও পেশার জ্ঞানীগুণী ও মেধাবীদের সমন্বয়ে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমাদের জাতীয় সংসদকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এ প্রসঙ্গে গত বছরই খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘এই ভিশনের আলোকেই আগামীতে আমাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহার রচিত হবে।’

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G