শারমিন আকতার:
ভোরের আলোয় কত সাহসী সত্য মাথা উঁচু করে উঁকি দেয়, আবার অস্তপাড়ের তারার মেলায় তা হারিয়েও যায়। হেমন্ত হাত বাড়িয়ে দেয় শীতের আগমনে, ঠিক তেমনি শীতের উত্তরী বাতাস ফিরে যায় বসন্তের দখিনা সমীরণে। এইতো নিয়ম। কেউ আসে কেউ যায়, কেউবা আবার সময়ের স্রোতে দূর থেকে দূরে মিলিয়ে যায়। বহমান এই সত্যকে হঠাৎ থামিয়ে দেয় কেউ। আর বলে, ‘দাঁড়াও, কোথাও যেও না। তখনই থেমে যায় প্রবহমান প্রবাহ, থমকে থাকে তার ফল্গুধারা।
সবাই অপলক নয়নে, অবাক বিস্ময়ে ভাবে; এ কে যার কথার জাদুতে আমরা মুগ্ধ, বিমোহিত। যার গানের কথায় দেখা যায় জীবনের পুরোনো স্বাদ, থেমে থাকা মনের নদী ফিরে পায় তার গতি-স্রোত। যার পরিচালিত নাটকে খুঁজে পাই সেই চরম সত্যকে, যাকে জোর করে মনের অজানা-অন্ধকার সিন্দুকে লুকিয়ে রাখি অতি সতর্কে-সযতনে।
সত্যকে সত্য বলবো এমন সাহস কই? মিথ্যাকে মিথ্যা বলবো এমন হিম্মত কই? কিন্তু তিনি বলেছেন তাঁর লেখায়, নাটকের পান্ডুলিপিতে, গানের কথায়-সুরে প্রতিটি মুহূর্তে।
তাইতো আজও তাঁকে বলতে হয়, সত্যি আপনিই হ্যামিলনের যোগ্য বাঁশিওয়ালা। আপনার বাঁশির সুরে বাংলার আকাশে এক নতুন অচেনা সূর্যের উদয় হয়েছে। যার আলোতে দিনে প্রাণ ফিরে পায় অসংখ্য পথভোলা পথিক। আর রাতের আঁধারে সেই বাঁশির সুর খুঁজে দেয় জীবনের অচেনা অচিনপুর।
তিনি আমাদের প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ। আজ তাঁর ৬৮তম জন্মদিন। তাই বলতে চাই,
‘যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়’।
=====