শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে শুকনো মরিচ ভেসে গেছে

প্রকাশঃ মার্চ ৩০, ২০১৭ সময়ঃ ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২০ পূর্বাহ্ণ

জাহিদুল হক মনির, শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভোগাই নদীর চরে শুকানোর জন্য রাখা প্রায় ১০০ মণের মতো শুকনা মরিচ ভেসে গেছে।

বুধবার ভোরে উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নে স্থাপিত রাবার ড্যামের ভাটি অঞ্চলের ৪ গ্রামে ভোগাই নদীর স্রোতের তোড়ে এত মরিচ ভেসে য়ায়। এতে অর্ধশত কৃষক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কৃষকের সেচ সুবিধার জন্য নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের জামিরাকান্দা রাবার ড্যাম প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পানি আটকানো থাকে। তাই এই সময়গুলোতে রাবার ড্যামের ভাটিতে চর জেগে উঠে। ভাটিতে বসবাসরত কৃষকরা মরিচ শুকানোর জন্য নদীর চর ব্যবহার করেন। যথারীতি বুধবার ভোরে মরিচ শুকানোর জন্য নদীর চরে রেখে দেয়। কিন্ত ভারি বর্ষণের ফলে রাবার ড্যাম গড়িয়ে পানির ঢল নদীর ভাটি অঞ্চলে চলে যায়। ফলে কোন্নগড় বড় বাড়ি, রাজাখালপার, বন্দের বাড়ি, দক্ষিণ কোন্নগড় গ্রামের ৫০ জনের মতো কৃষকের প্রায় ১০০ মণ মরিচ ভেসে চলে যায়। এতেকৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

রাজাখালপার গ্রামের চাঁন মিয়া বলেন, গত দুই দিন ধরে সামান্য বৃষ্টি হচ্ছিল। এই সামান্য বৃষ্টি হলেও নদীর চরের পানি বালু শোষণ করে নেয়। তাই আমরা নদীর চর থেকে মরিচ তুলিনি। কিন্তু গতকাল বুধবার ভোর রাতে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে অনেক মরিচ ভেসে গেছে।

কোন্নগড় বড় বাড়ি গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার ২৭ মণ মরিচ নদীর ঢলে ভেসে গেছে। বিরাট লোকসানে পড়ে গেছি।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার ভোর রাতের প্রচুর বৃষ্টির ফলে রাবার ড্যামের বাধঁ গড়িয়ে পানি ভাটির দিকে চলে যায়। ফলে কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মণ মরিচ নদীতে ভেসে গেছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G