শারমিন আকতার:
আজ সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর কালো মেঘের বিষন্ন চেহারা দেখে ঘুম ভেঙেছে রাজধানীবাসীর। যদিও গতকাল শেষ রাতের দিকে শুরু হয় এ মেঘ ঘুরঘুর বৃষ্টি বাদলের আগাম সতর্কবাণী। সকাল গড়িয়ে গেলেও ঠান্ডা বাতাস, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর চারদিক আঁধার করা কালো মেঘ বহাল তবিয়তেই হাল ধরে ছিল। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও অনেকের কাছে এরকম আবহাওয়া মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো মনে হচ্ছিল। তাই সকালটা কারো কেটেছে দু:চিন্তায় আবার কারো ব্যস্ততার মাঝে এক পশলা আনন্দবৃষ্টির মতো।
দুপুর হতেই সূর্যিমামার ঘুম ভাঙলো। একটু একটু করে দেখা দিতে শুরু করলো নগরীতে। তবে ভাব দেখে মনে হচ্ছে মেঘ-বৃষ্টির সাথে পেরে উঠছে না এখনও পর্যন্ত। তাই দুপক্ষের সমান সমান সহঅবস্থান। এতে বাহিরে কর্মরত লোকজনের বেজায় সুবিধা হলো বটে। অনেকটা রথ দেখা আর কলা বেচার মতো। রোদের উত্তাপ নেই আবার বৃষ্টি ভেজার বাগড়াও নেই। চমৎকার পাঁচমিশালী হালকা চালের খেয়াল।
মার্চের সময়টাতে স্বভাবত এমন একটা মিশ্র আবহাওয়ার দেখা মেলে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। যদিও প্রকৃতিতে স্বাভাবিকতা কমে এসেছে। অন্যদিকে আচমকা ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, জনসাধারণ নিজেদের সুবিধার জন্য ইচ্ছেমতো প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করতে গিয়ে এবং যেখানে সেখানে বাড়াবাড়ি রকমের প্রযুক্তির ব্যবহার করার কারণে আজ এই নিয়ন্ত্রণহীন প্রাকৃতিক ভয়াবহার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সবাইকে। দু:চিন্তার বিষয় হলো, এ সমস্যা বেড়ে চলেছে দিনকে দিন। যেন সবাই বেঘোরে ঘুমোচ্ছে, কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।