সমস্যার দ্রুত সমাধান দেবে ‘আমার অভিযোগ’
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সমস্যার দ্রুততম সমাধান দেবে তরুনদের আবিস্কৃত ‘আমার অভিযোগ’ । বিশ্ব ব্যাংক এবং কানাডা সরকারের আর্থিক সহায়তায় স্কীলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের (এসটিইপি) উদ্যোগে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একদল মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরী করেছে এই প্রজেক্ট। সম্প্রতি সারাদেশে ৮ টি বিভাগে আয়োজিত হয় স্কীলস কম্পিটিশনের আঞ্চলিক পর্বে বেশ প্রশংসিত হয় ফেলে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের এই প্রজেক্ট।
টিম প্রধান আসাদুজ্জামান সাগর জানায়, ‘আমার অভিযোগ’ প্রজেক্টটি মুলত একটি অভিযোগ পরিচালনা পদ্ধতি। যা প্রোগ্রামিং জ্ঞান ব্যবহার করে ডেভেলোপ করা হয়েছে। বর্তমানে এটি এমনভাবে ডিজাইন করা আছে যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সরাসরি জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ জানাতে পারবে এবং জেলা প্রশাসক অভিযোগটি দেখে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে। ওয়েবওয়্যারটিতে কিছু আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কোন অভিযোগ আসলে এডমিনের কক্ষে এলার্ট বেঁজে উঠবে এবং এডমিন যদি অনলাইনে না থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত এডমিনের মোবাইলে টেক্সট আকারে অভিযোগটি চলে যাবে যাতেকরে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়।
এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আরও জানায়, শুধুমাত্র জেলা প্রশাসক নয় বরং এটি যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা যে কোন প্রশাসন বিভাগ ডিজিটাল অভিযোগ বক্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। এই সেবা ওয়েবসাইট কিংবা ‘আমার অভিযোগ’ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রহণ করা যাবে।
আঞ্চলিক পর্বের এ অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেকে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক, স্কীলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত আরও কয়েকজন।
পরিদর্শনের পর তাঁরা মন্তব্য করেন, দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ‘আমার অভিযোগ’ প্রজেক্টটি বিরাট ভূমিকা রাখবে। তাঁরা ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের এই প্রজেক্টটিকে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করেন, সেই সাথে এই তিন শিক্ষার্থীর হাতে বিজয়ীর ক্রেস্ট তুলে দেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস.আর.এস