সাংবাদিক পেটালো আ’লীগ নেতা
জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
দৈনিক কালের কন্ঠের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমানকে মারধর করেছে মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও মইশাতুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।
শনিবার (০৭ মার্চ) দুপুরে মনোহরগঞ্জ বাজারে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে সাংবাদিক আব্দুর রহমানকে বেদম মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
মনোহরগঞ্জে ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত “ন্যাশনাল সার্ভিস; এইচএসসির সনদে নিরক্ষরের আবেদন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় তার উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক আবদুর রহমান জানান, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ‘ন্যাশনাল সার্ভিস’ কার্যক্রম চালুর জন্য উপজেলার যুবক ও যুব নারীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহবান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রকল্পে আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এইচএসসি পাশ উল্লেখ করা হয়।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা না থাকায় একই কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার জাকির হোসেন প্রকল্পে নানা অনিয়ম করেন। তিনি টাকা নিয়ে অধিকাংশ আবেদনকারী এসএসসি পাশ না করলেও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জাল সনদের মাধ্যমে এইচএসসি করে দেন।
এবিষয়ে শনিবার দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘এইচএসসির সনদে নিরক্ষরের আবেদন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এর প্রেক্ষিতে সকালে মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও মইশাতুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল তাকে ফোন করে মনোহরগঞ্জ উপজেলা বাজারে ডেকে নেয়। ন্যাশনাল সার্ভিস নিয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণ জানতে চেয়ে মোস্তফা কামাল নিজেই তাকে মারধর শুরু করে।
সেখানে উপস্থিত ৫/জন দলীয় কর্মীও তাকে বেদম লাঠিপেটা করে। এ সময় যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার জাকির হোসেনও তার লোকজন নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোস্তফা আহত আবদুর রহমানকে বলেন, ‘যদি এ রিপোর্টের কারণে কোনো তদন্ত হয় তাহলে তুই মনোহরগঞ্জে থাকতে পারবি না।’
সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানালেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক আবদুর রহমান।
এ ব্যাপারে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই সরকার বলেন, ‘সংবাদকর্মীর ওপর হামলার বিষয়টি শুনেছি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রতিক্ষণ /এডি/আরেফিন