সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি চেয়ে খালেদার সময় আবেদন
আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য সময়ের আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে বুধবার সকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ আবেদন করেন।
এ দিন মামলা দুটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
সময়ের আবেদনে সানাউল্লাহ মিয়া উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়া হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ ছাড়া বিচারক বদলি চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করা হয়।
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওইদিন তার আইনজীবীরা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করেন।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় ৪ মার্চ তারেক রহমানকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ দিন (৪ মার্চ) ধার্য করা হয়।
এদিকে, আদালতে হাজির না হওয়ায় কাজী সালিমুল হক কামাল ও সরফুদ্দিন আহমেদেরও জামিন বাতিল করা হয়। জামিন বাতিল করে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
আদালত জামিন বাতিলের সময় বলেন, এ মামলার ৬৩ কার্যদিবসের মধ্যে খালেদা জিয়া সাত দিন উপস্থিত ছিলেন। তাই সবদিক বিবেচনা করে তার জামিন বাতিল করা হল।
ওইদিন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদ সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এতিমদের নামে আসা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা নিজে লাভবান হওয়ার জন্য আত্মসাৎ করেন।’
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অপর আসামীরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামীরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
প্রতিক্ষণ /এডি/মিনহাজ