সাক্ষ্য দিতে আদালতে খাদিজা
রোববার সকালে কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থিত হয়ে তার উপর চাপাতি দিয়ে হামলাকারী বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।
এর আগেও খাদিজাকে সাক্ষী দেয়ার জন্য আদালতে তলব করা হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। আজ সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় বলে জানান আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান।
২৯ নভেম্বর এই মামলার একমাত্র আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ৮ নভেম্বর শাহপরাণ থানার এসআই হারুনুর রশিদ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরবর্তীতে ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
৫ অক্টোবর বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। ওইদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বদরুল চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘আমার ফাঁসি হোক। খাদিজার জয় হোক।’
গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর হামলার শিকার হন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে খাদিজাকে।
এই বর্বর হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে দেশে বিদেশে তোলপাড় শুর হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে খাদিজাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তীতে পুনর্বাসনের জন্য সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয় খাদিজাকে। প্রায় ৫ মাস চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে শুক্রবার সিলেটের গ্রামের বাড়ি ফিরেন খাদিজা।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল