সিঙ্গাপুরে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ৬ বাংলাদেশি
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
সিঙ্গাপুরে মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় বাংলাদেশি। দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়। ওই ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুব-উজ-জামান ই-মেইলে রয়টার্সকে বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয় বাংলাদেশি রয়েছেন।’
‘আমাদের আরো জানানো হয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সামান্য উপসর্গ দেখা গেছে। তাঁরা হয় আরোগ্য লাভ করেছেন অথবা আরোগ্যের পথে। আমরা এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
বাংলাদে হাই কমিশন এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান তিনি। সিঙ্গাপুরে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী গত সপ্তাহের প্রথমে শনাক্ত করা হলেও দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে এবং এ সংখ্যা ১১৫ তে পৌঁছে যায়।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত বছর প্রথম ভাইরাসটির অস্তিত্ব মেলে, পরে যা মহামারি আকারে আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটির কারণে ব্রাজিলে অন্তত ১৮শ’ শিশু শরীরে জটিলতা নিয়ে জন্ম হয়।
জিকার লক্ষণ
>> প্রতি পাঁচজন রোগীর মধ্যে একজনের মধ্যে হালকা জ্বর, চোখে লাল হওয়া বা কালশিটে দাগ পড়া, মাথা ব্যথা, হাড়ের গিঁটে ব্যথা ও চর্মরোগের লক্ষণ দেখা যায়।
>> বিরল ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোমেও ভুগতে পারেন; এর ফলে সাময়িক পক্ষাঘাত কিংবা ‘নার্ভাস সিস্টেম ডিজঅর্ডারের’ মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
>> গর্ভবতী মা মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হলে তার অনাগত শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে, মস্তিষ্কের গঠন থাকতে পারে অপূর্ণ। এ রোগকে বলে মাইক্রোসেফালি।
>> এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম ও বেশি করে তরল খাবার খেতে পরামর্শ দেয়া হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম