সৌদি পৌঁছেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে দশটায় সৌদি আরবের রাজধানীতে পৌঁছেন ট্রাম্প। আটদিনব্যাপী এ সফরে এরপর ইসরায়েল, বেলজিয়াম এবং ইতালিতে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে স্বাগত জানান সৌদি বাদশা সালমান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ট্রাম্পের সফরকে কেন্দ্র করে শহরের রাস্তায় ট্রাম্প এবং সৌদি বাদশা সালমানের ছবি সম্বলিত অসংখ্য বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। রাস্তার দু’পাশে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পতাকা সারি সারি করে টাঙানো হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ট্রাম্প সর্বপ্রথম বাদশা সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর সৌদি রাজ পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। ট্রাম্পের এই সফরে সেখানে কোনো সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা নেই। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ফটো সেশনের কথা রয়েছে।
দু’দিনের সফরে ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে একশ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির আশা করছেন। যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য নতুন করে প্রতিশ্রুতির প্রমাণ পায়।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যমতে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়ে রোববার বক্তব্য রাখবেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসলামি সন্ত্রাসবাদ বৈশ্বিকভাবে মোকাবিলার আশা করছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্য দেশ বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে মিলিত হবেন।
এ সময় সিরিয়া ইস্যুতে তাদের মধ্যে কথা হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির বেসামরিক মানুষের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এগিয়ে নিতে আলোচনা করবেন তারা।
মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে ধর্মীয় উগ্রপন্থার বিস্তার রোধের উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন ট্রাম্প। এসব গোষ্ঠীর অবৈধ অর্থায়নের উৎস বন্ধে আলোচনা করবেন। এ আলোচনায় একসঙ্গে সব মুসলিম দেশের নেতাদের পাশে পাচ্ছেন ট্রাম্প। আর এটাই হবে মুসলিম বিশ্বের মন জয়ের কার্যকর সময়।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই