হাকালুকির পানি স্বাভাবিক

প্রকাশঃ এপ্রিল ২৮, ২০১৭ সময়ঃ ৮:০৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:০৭ অপরাহ্ণ

মাহমুদ এইচ খান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে বন্যায় পানির গুণাগুণ নষ্ট হওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন দেশের মানুষসহ স্থানীয় হাওরবাসী। তবে সেখানকার পানি এখন স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। পানিতেও এখন অক্সিজেনের পরিমাণ আগের চেয়ে স্বাভাবিক রয়েছে এবং পাশাপাশি কমে গেছে অ্যামোনিয়ার প্রভাবও।

শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ভূকশিমইল এলাকায় হাকালুকি হাওড়ের পানি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল। প্রাথমিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে বিশেষজ্ঞ দল এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহত্তম এই হাকালুকি হাওরে পরীক্ষার জন্য আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। হাওড়ের পানিতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে পানির অবস্থা ভালো আছে। স্বাভাবিক হয়েছে হাকালুকির পরিবেশও। তবে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকায় গিয়ে ল্যাবে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্তারিত অবস্থা জানা যাবে’।

উল্লেখ্য, ভারী বর্ষণে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর জুড়ে তলিয়ে যাওয়া ধান পচে গ্যাস তৈরি হয়। কালো ও ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করে বিষাক্ত হয় হাওড়ের পানি। মারা যায় শত শত টন মাছ। মরা মাছ ও পানি খেয়ে মরে যায় তাদের বিকল্প জীবিকায়নের প্রাণী হাঁস। অন্যদিকে কৃষি ও মৎস্যজীবীরা বিপাকে পড়েছেন হাওর থেকে সংগৃহীত গো-খাদ্য নিয়েও। হাওরের কোনো ঘাসই তারা গবাদি পশুর জন্য কাটছেন না। বিশাল এই হাওর পাড়ে হাজার হাজার পরিবারের রয়েছে কয়েক লাখ গবাদি পশু। আর এ গবাদি পশুর খাবার সংগ্রহ করা হয় হাকালুকি হাওর থেকেই। হাওরের পানিতে মরা মাছ খেয়ে হাঁস মারা যাওয়ার পর গবাদি পশুর জন্য হাওরের ঘাস তারা এড়িয়ে চলছেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G