১৪০ চিকিৎসককে পুনর্বহালের নির্দেশ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ১১ বছর আগে নিয়োগ পাওয়া ১৪০ জন চিকিৎসকের চাকরির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে স্বপদে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। মাঝখানের সময়টা বিনা বেতনে ছুটি হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের করা আপিল ও লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। চিকিৎসকদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, কামরুল হক সিদ্দিকী, এ এম আমিন উদ্দিন ও শরীফ ভূঁইয়া।
১১ বছর আগে নিয়োগপ্রাপ্ত এই চিকিৎসকদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে পাঁচটি আপিলের শুনানি শেষ করে রোববার এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
গত ১৭ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়, আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।
আইনজীবী শরীফ ভুঁইয়া জানান, আদালতের আদেশের ভিত্তিতে এসব চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হলেও হাইকোর্টের রায়ে তা প্রতিফলিত হয়নি। রায়ে বলা হয়েছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এসব পদ তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া এসব চিকিৎসককে নিয়োগের সময় রিটকারী সিন্ডিকেটে ছিল সেই বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মূলত এসব কারণেই ১৪০ জন চিকিৎসক লিভ টু আপিল খারিজাদেশের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। সেই আবেদনগুলো একত্রে শুনানিকালে আদালত তাদেরকে চাকরিতে কীভাবে রাখা যায় তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জানাতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম সিন্ডিকেটে ২০০ জন মেডিক্যাল অফিসারের পদ সৃষ্টি করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর কিছু সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে স্বাচিপের তৎকালীন মহাসচিব ইকবাল আর্সালান হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে আদালত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নিয়োগ সংশোধন সাপেক্ষে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই