২কোটি ৩৯লাখ ডলার এখনও খরচ হয়নি

প্রকাশঃ মার্চ ৩০, ২০১৬ সময়ঃ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:১২ অপরাহ্ণ

fileবাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের দুই কোটি ৩৯ লাখ ডলার এখনো গচ্ছিত আছে ফিলিপাইনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।

মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেটের শুনানিতে ব্যবসায়ী কিম ওং এ দাবি করেন।

ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম এবিএস সিবিএন নিউজ জানিয়েছে, রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের একটি অংশ ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে ব্যবসায়ী কিম ওং। তিনি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত দিতে চেয়েছেন। এই পরিমাণ অর্থ সোলেয়ার রিসোর্ট ও ক্যাসিনোতে জমা আছে। আরো আট লাখ ৬৩ হাজার মার্কিন ডলার আছে মাইডাস হোটেল ও ক্যাসিনোতে। শুনানিতে ওং দাবি করেন, ফিলরেমের কাছে এখনো চুরির অর্থের এক কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রাখা আছে।

তবে ফিলরেম ওংয়ের দাবি অস্বীকার করেছে। শুনানিতে ওং আরো বলেন, ডিং ঝিজে ও সু হুয়া গাও নামের এই দুজন ব্যবসায়ী অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে গাও তাঁর কাছে ৭৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার বাজিতে হারার পাওনা হিসেবে শোধ করেছেন। তবে, নির্দেশ দেওয়া হলে ঐ অর্থও তিনি ফেরত দেবেন।

শুনানিতে সোলেয়ারের কর্মকর্তা সিলভেরিও বেনি বলেন, ব্যাংকের সতর্কতা জানার পর তারা ক্যাসিনোতে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার পেসোর চিপস লেনদেন বন্ধ রাখেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার (প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা) চুরি হয়। এর মধ্যে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবেশ করে। এই অর্থছাড় হয় আরসিবিসি ব্যাংকের ম্যানেজার মায়া সান্তোস দেগুইতোর হাত দিয়ে। এ ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেটে মায়া সান্তোস দেগুইতো ও ফিলিপাইনের ব্যবসায়ী কিম ওংয়ের শুনানি চলছে।

===========

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G