৪৫ শতাংশ নিরাপদ মাতৃত্ব বঞ্চিত

প্রকাশঃ মে ২৮, ২০১৫ সময়ঃ ৩:৫০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

nirapod matrittoনিরাপদ মাতৃত্ব সেবা থেকে দেশের ৪৫ শতাংশ মা বঞ্চিত রয়েছেন। শতকরা ৬৮ ভাগ প্রসব বাড়িতে হয় এবং অবশিষ্ট ৩২ ভাগ প্রসব হয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাপ্রদানকারীদের মাধ্যমে।
সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর হার কমলেও নিরাপদ মাতৃত্ব এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।গর্ভকালীণ সময় শতকরা ১৪ জন মহিলাই নানাবিধ ঝুঁকিপূর্ণ জটিলতায় ভোগেন, যা মাতৃমৃত্যুর জন্য বহুলাংশে দায়ী।

প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, গর্ভকালীণ জটিলতা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা ও পরিবারের অবহেলা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তবে শতকরা ৫১ ভাগ মৃত্যুই রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনির কারণে হয়ে থাকে।

দেশের নিরাপদ মাতৃত্বের এই অবস্থার মাঝেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয় ১৯৮৭ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে উন্নয়ন সহযোগীদের বৈঠকে। ১৯৮৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে এই দিবসটি পালন শুরু হলেও বাংলাদেশে দিবসটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সাল থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঠ পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সঙ্কট ছাড়াও সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোতে প্রয়োজনীয় দক্ষ লোকবল না থাকায় এখনও বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বহু প্রসূতি অনভিজ্ঞ দাইদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। ফলে মৃত্যু ছাড়াও সন্তান জন্মের পর অনেক নারীই আক্রান্ত হচ্ছেন নানা জটিল সমস্যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় ৫০ শতাংশ ডাক্তারের পদই শূন্য। আর যারা আছেন তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ডাক্তার এবং ৫৫ শতাংশ নার্স নিয়মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান না। জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী এখনও সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি এক লাখে ১৭০ জন মা মারা যাচ্ছেন। গত কয়েক দশকে অবশ্য বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর এই হার ১৪৩ এ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে এক লাখ জীবিত জন্মে ১৭০ জন মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। আর ল্যানসেট বলছে এই সংখ্যা ২৪২।

প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G