অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে করোনার টিকা পাবেন যারা
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন একটি সফল টিকার প্রয়োগ শুরু হলে এবং বাংলাদেশ সেটি পেলে চিকিৎসক, সেনাবাহিনীর সদস্য, বয়স্ক ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং স্কুল শিক্ষকেরা অগ্রাধিকার পাবেন। গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক কর্মশালায় তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে কারা অগ্রাধিকার পাবেন সে ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, “একটা ফ্লো চার্ট আমরা তৈরি করেছি। কীভাবে টিকা যোগাড় করা হবে, কীভাবে সেটি দেয়া হবে এরকম একটি খসড়া কর্মকৌশল প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই তিন দিনের মধ্যে সেটি চূড়ান্ত করা হবে।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সরকারের গঠিত একটি কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিস্তারিত একটি কর্মকৌশলের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন জানিয়েছেন, “ভ্যাকসিন এলে কীভাবে তা সংরক্ষণ করা হবে, কীভাবে বণ্টন করা হবে, অগ্রাধিকার কারা পাবেন, তাদের কীভাবে নির্বাচন করা হবে, তাদের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা হবে, আর্থিক ব্যাপারসহ এরকম অনেকগুলো বিষয় নিয়ে খসড়াটি তৈরি হয়েছে।”
কারা অগ্রাধিকার পাবেন খসড়াটির কিছু ধারনা পাওয়া গেছে কমিটির কয়েকজন সদস্যের সাথে কথা বলে। তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। তারা বলছেন, তিন ধরনের ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবেন। প্রথম ধাপে রয়েছেন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় একেবারে সম্মুখ সারিতে কাজ করছেন এমন ব্যক্তি।
মানবদেহে ব্যবহারের জন্য নিরাপদ এবং সফলভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সক্ষম এমন টিকা আবিষ্কারের ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। অনেকগুলো কোম্পানি তাদের টিকা মানবদেহে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই লক্ষ লক্ষ ডোজ টিকার জন্য অগ্রিম চুক্তি করে রেখেছে বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ।
যেমন শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য একাই ৩৪ কোটি ডোজ টিকার নেবার চুক্তি করেছে বেশ কয়েকটি ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির সাথে।বাংলাদেশও টিকা প্রস্তুতকারী দেশগুলোর সাথে নানাভাবে যোগাযোগ বজায় রাখা, এবং টিকা কিনে আনার জন্য প্রস্তুত বলে সরকার জানিয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ