এবার অন্ধকারেও দেখা যাবে!

প্রকাশঃ মার্চ ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ১১:০৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:০৪ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম.

tuhin000_2051956019540dbeb3d296d1.60375833_xlargeযুক্তরাষ্ট্রের সায়েন্স ফর দ্যা মাসেস নামের একটি সংগঠন অন্ধকারেও চোখে দেখার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন। ক্যালোফর্নিয়ার তেহাচাপিতে এ গবেষনায় গভীর সমুদ্রের একটি মাছের শরীরে প্রাপ্ত বিশেষ তরল পদার্থ এক ব্যক্তির চোখে দেওয়ার পর তিনি অন্ধকারেও ৫০ মিটার পর্যন্ত দেখতে পান। খবর প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়,  মাছের শরীরে প্রাপ্ত এক ধরনের ক্লোরোফিল ‘ক্লোরিন ই৬’ বা ‘সিই৬’ নামের এই তরল কোথাও কোথাও রাতকানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

বৈজ্ঞানিক দলটির গবেষণাগারের মেডিকেল কর্মকর্তা জেফরি টিবেটস সায়েন্স ডট মাইক সাময়িকীকে বলেন, ‘অনেক গবেষণাতেই ইঁদুরের মতো প্রাণীর শরীরে এই তরল প্রয়োগ করার কথা উঠে এসেছে। আর ষাটের দশক থেকেই বিভিন্ন ক্যানসারের চিকিৎসায় এর ব্যবহারের কথা জানা যায়। গবেষণার পর এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই কাজ।’

গবেষক দলটির সদস্য গ্যাব্রিয়েল লিসিনার চোখে ৫০ মাইক্রোলিটার সিই৬ দিয়ে একটি অন্ধকার মাঠে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষাটি চালানো হয়। প্রথমে ১০ মিটার দূর পর্যন্ত নানা বস্তুর অবয়ব বুঝতে পারেন লিসিনা। খুব দ্রুতই আরও দূরের বস্তু এবং নড়াচড়া করতে থাকা মানুষও দেখতে পারেন তিনি। একপর্যায়ে ৫০ মিটার দূরে গাছের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের অবয়বও বুঝতে পারেন লিসিনা।

চোখে সিই৬ ড্রপ দেওয়ার পর অন্ধকারের মধ্যে বস্তু বা মানুষের অবস্থান চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে লিসিনার সাফল্য ছিল শতভাগ। কিন্তু এই ওষুধ ব্যবহার করেননি এমন স্বেচ্ছাসেবকেরা মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ সময় অন্ধকারের মধ্যেও নানা অবয়বের কিছুটা বুঝতে পারেন। সাধারণের জন্য এই বৈজ্ঞানিক দলটি এই চোখের ওষুধ নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G