সংলাপের নিশ্চয়তা নেই
বিরোধী জোট চলমান অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার করলেও সংলাপের কোন নিশ্চয়তা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের দাবি করা সংলাপ ও নির্বাচনের কথা অযৌক্তিক’। ‘বর্তমানে যারা অবরোধ দিয়ে সংকট সৃষ্টি করেছে তারা আগে এ সব বন্ধ করুক। তারপর সংলাপের বিষয়ে দেখা যাবে’।
অবরোধ বন্ধ হলেই কি সংলাপ বা আলোচনা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা নিশ্চিত নয়। আগে সহিংসতা বন্ধ করুক, তারপর দেখা যাবে কি করা যায়’।
রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় বিবিসি-বাংলাদেশ সংলাপে ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথ খোলা আছে কি না’ দর্শকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্যানেল সদস্য হিসেবে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ বিষয়ে প্যানেল সদস্য বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ সংলাপ এবং সমঝোতা। একই সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে বলেও মত দেন তিনি।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, সমাধানের পথ হচ্ছে সংলাপ। আর ক্ষমতা ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, সমাধান করতে সংলাপে বসতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে এইচটি ইমাম বলেন, বিএনপিকে আগে নির্বাচন দেওয়ার দাবি থেকে সরে আসতে হবে। এরপর অন্য বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। তিনি আরও বলেন, এটা কোনো যুদ্ধক্ষেত্র নয় যে, দুপক্ষ বসলাম আর যুদ্ধ থেমে গেল।
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশ আরও সংঘাতের দিকে চলে যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে ক্ষমতা রাখতে চাইলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। জনগণ আজ উত্তপ্ত। বর্তমান সংকটের মূল সমস্যার সমাধান করতে হবে।
এইচটি ইমাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে যা করা হচ্ছে সেগুলোকে আমি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলবো না। জনগণের জীবন বাঁচানোর জন্য এসব করা হচ্ছে।
বর্তমান সংকটের সমাধান না হলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যেতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ঢাকাকে বর্তমানে কাঁচের ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছে। বর্তমান সংকটটি রাজনৈতিক সমস্যা। রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান করতে হবে। তা না হলে গৃহযুদ্ধ কেন, দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার যখন দাবী মেনে নিয়ে অর্থবহ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করবে, তখনই হরতাল অবরোধ বন্ধ করা হবে। অন্যথায় হরতাল চলবে।