অবশেষে এল বৃষ্টি কন্যা
শারমিন আকতার:
আজ সত্যিই প্রাণভরে দুচোখজুড়ে দুহাত পুরে একঝাঁক দুরন্ত চঞ্চল সাহসী ঘোড়ার মতো তীব্র বেগে, অস্থির লণ্ডভণ্ডকারী দুষ্ট বাতাসকে পরাস্ত করে নির্ভেজাল বৃষ্টি নামলো সমস্ত আকাশের মেঘমালার কলকল্লোলফুড়ে। ছুঁয়ে গেল পাষাণের কঠিন হৃদয়, জুড়িয়ে গেল চাতকের শুষ্ক কণ্ঠালয়। আকুল হয়ে আকাশপানে পরম ব্যাকুল মন আজ শান্তির পরশ পেল। স্থির হল অশান্ত হৃদয়। প্রকৃতিও গা ভেজালো অসীম আনন্দে। পুলকিত সমীরণের চাপিয়ে দেওয়া জীর্ণ-শীর্ণ আচ্ছাদন ছাপিয়ে মন ভরে গাছের ডালে ডালে অজস্র পুস্পবৃষ্টি ফোঁটা ঝড়েছে অঝোরে।
হৃদয় জুড়ে গেল হৃদয়হীনেরও, প্রাণ জুড়িয়ে গেল অপলক নয়নে আকাশপানে তাকিয়ে থাকা লাল-হলুদ-বেগুনীর বিচ্ছুরণে মাতিয়ে রাখা সৌন্দর্যমন্ডিত কুসুম কোমল রূপের ডালি সাজিয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু বৈশাখী তেজোদীপ্ত পাগল করা অপূর্ব শোভা বাড়ানো ফুলেল গুচ্ছরাজিতেও। টুপটুপ করে বৃষ্টি কন্যার এক একটি ফোঁটা গড়িয়ে পড়েছে অঝোরে; আকাশের কালো মেঘ ভেদ করে। খুশি প্রকৃতির ফুল,ফল, লতা,পাতা, আর প্রতিদিনের পাতা কুড়ানিরা। খুশি অশান্ত মনে প্রতিদিন ঐ হলুদাভ তীক্ষ্ণ তেজী সূর্যের দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষারত সাধারণীর অপলক নেত্রবৃন্দ।
=====
পড়তে পারেন আগের নিউজটি: বৈশাখের প্রথম বৃষ্টিতে ভিজলো দেশ
=======