অবশেষে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির সমাবেশ
রাজনৈতিক প্রতিবেদন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাাত। এরপর তো নয়াপল্টনে গত দুই দিন ধরেই সমাবেশ করার ঘোষণা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে শেষ হলো। এর মধ্যে বিএনপির দুই নেতা গ্রেফতার কার কথা বলেছে পুলিশ বিভাগ। তবে অবশেষে ঘোষণা এসেছে বিএনপির কালকের সমাবেশ গোলাপবাগ মাঠ অনুষ্ঠিত হবে। নয়াপল্টন নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, এ নিয়ে বিরোধের মধ্যে আলোচনায় কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠ। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের স্থল ঠিক হয়েছে গোলাপবাগ মাঠ।
যদিও গেল বৃহস্পতিবার রাতে নাটকীয়ভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুরের বাঙলা কলেজ মাঠ- যেকোনো একটিতে সমাবেশের কথা জানানো হয়েছিল। কোথায় জমায়েত হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মাঠ দুটি পরিদর্শনের কথাও জানানো হয়। তবে সমাবেশের আগের দিন ফের দেখা দেয় নাটকীয়তা।
জমায়েতের আগের দিন রাজধানীর এক প্রান্তে সায়েদাবাদ ঘেঁষা বড় এই মাঠটি নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করে সেখানে জমায়েতের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইনশাল্লাহ গণসমাবেশ আগামীকালকে গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।’
গোলাপবাগের ঘোষণা দেবার সময় সঙ্গে ছিলেন দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালও।
এর মধ্যে দুপুরের পর বিএনপির দুই নেতা যান ডিএমপির গোয়েন্দাপ্রধানের কাছে। বের হয়ে জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল আমরা কমলাপুর স্টেডিয়ামে গণসমাবেশ করব। সেখানে যেহেতু খেলা চলছে এবং কর্তৃপক্ষ আমাদের বলল অন্য একটা জায়গায় আপনারা বিবেচনা করতে পারেন।
‘সেটার প্রেক্ষিতে আমরা গোলাপবাগ মাঠে আমরা আমাদের চয়েজ দিয়েছি এবং আমাদের চয়েজের প্রেক্ষিতে উনারা বলেছেন একটা লিখিতভাবে উনাদের কাছে দেয়ার জন্য। সেটা আমরা দিয়েছি। ওই জায়গায় গণসমাবেশ করার জন্য উনারা আমাদেরকে বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের সঙ্গে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা মাঠটি পরিদর্শন করে এখন সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নেব।… আগামীকাল গোলাপবাগে আমাদের সমাবেশ হবে। পুলিশ সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।’